আলোর ফেরিওয়ালা। অশিক্ষা ও অজ্ঞতা দূর করার স্বপ্ন নিয়ে যারা মানুষকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করার কাজ করে তাদেরকে অনেকেই আলোর ফেরিওয়ালা বলে থাকে। কিন্তু একটি ভ্যানে বিদ্যুৎ সংযোগের সরঞ্জাম, মিটার নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরছে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন। তাদের কাজ একটাই, নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া। এ কারণেই নামকরণ করা হয়েছে আলোর ফেরিওয়ালা।
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে আলোর ফেরিওয়ালা নিয়ে বাড়ি বাড়ি হাজির হতে দেখা যাচ্ছে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনদের। এই আলোর ফেরিওয়ালার কারণে নতুন গ্রাহকদের মাত্র ৫ মিনিটেই মিলছে বিদ্যুৎ সংযোগ। বিদ্যুৎ বিভাগের এমন উদ্যোগ এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
রবিবার সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিত-২ ধুনট সাব-জোনাল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভ্যান গাড়িতে ফেরি করে গ্রাহকদের বাড়িতে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছেন। তাদের এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’।
ধুনট সাব-জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার ধুনট উপজেলার গ্রাম বিদ্যুতায়নের আওতায় গ্রামে গ্রামে গিয়ে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ ভ্যানগাড়িতে করে ড্রফ তার ও মিটার নিয়ে গ্রাহকদের বাড়িতে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে।
এ বিদ্যুৎ সংযোগ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী আব্দুস কুদ্দুস, ধুনট সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার বিজয় চন্দ্র কুন্ডু, ওয়ারিং পরিদর্শক সাদেকুল ইসলাম, লাইনম্যান সোহানুর রহমান ও হামিদুর রহমান প্রমুখ।
পর্যায়ক্রমে উপজেলার সব কয়টি ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিদ্যুতের আওতার বাইরে থাকা পরিবারগুলোকে বিদ্যুৎ সংযোগ পাবেন। ধুনট সাব-জোনাল অফিসের আওতায় উপজেলায় এ পর্যন্ত ৫৭ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছেন।
ধুনট সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার বিজয় চন্দ্র কুন্ডু বলেন, গ্রাহকদের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যাতে হয়রানীর শিকার হতে না হয়, সে জন্য বসানো হয়েছে হেল্প ডেক্স কর্নার। গ্রাহকরা বিভিন্ন আবেদন, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ, জামানত জমা ও উত্তোলনসহ যেকোনো সেবা এই হেল্প ডেক্স কর্নারের মাধ্যমে বিনামূল্যে গ্রহণ করতে পারবেন। তবে ধুনট সাব-জোনাল অফিসে গ্রাহকের তুলনায় লোকবল সংকট রয়েছে।