Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘ওয়াসারে আইতে কন, পিছা দিয়া কয়টা বাড়ি দিয়া দেই অসভ্যগো’ ভিডিও ভাইরাল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১০:০০ PM
আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১০:০০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


এবার ওয়াসার পানি নিয়ে বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া রাজধানীর দরিয়া এলাকার এক নারীর সাক্ষাৎকারের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ওয়াসার পানির মান অনেক খারাপ মন্তব্য করে ওই নারী বলেন, ‘হাতও ধুইতে পারি না, হাতের ভিতর গন্ধ। এদিকে চুলকানি হইয়া ভইরা যায় এই পানি ধরলে।’

এ সময় ওই নারীকে সাংবাদিক বলেন, ওয়াসা তো বলছে, ‘এই পানি খাওয়া যেতে পারে বা ব্যবহার করা যেতে পারে।’

তখন ওই নারী বলেন, ‘ওয়াসারে আইনা খাওয়ান। আর নাইলে আইতে কন, পিছা দিয়া কয়টা বাড়ি দিয়া দেই অসভ্যগো। প্রতি মাসে মাসে বিলটা আইনা ধরাই দিয়া যায়, জোর কইরা বিলটা নিতাছে না আমগো কাছ থাইকা?’

এর আগে গত ১৭ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত মাইডাস সেন্টারে ‘ঢাকা ওয়াসা : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক একটি গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশ করে দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ঢাকা ওয়াসার পানির নিম্নমানের কারণে ৯৩ শতাংশ গ্রাহক বিভিন্ন পদ্ধতিতে পানি পানের উপযোগী করে। এর মধ্যে ৯১ শতাংশ গ্রাহকই পানি ফুটিয়ে পান করে। গৃহস্থালি পর্যায়ে পানি ফুটিয়ে পানের উপযোগী করতে প্রতিবছর আনুমানিক ৩৩২ কোটি টাকার গ্যাসের অপচয় হয়।’

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ‘গবেষণাটির জন্য টিআইবি মাঠপর্যায়ে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ওয়াসার ১০টি মডস জোনের মোট ২ হাজার ৭৬৮ জন গ্রাহকের মতামত নেয়। জরিপের ফলাফলে বলা হয়, এই গ্রাহকদের ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশই ওয়াসার সেবায় অসন্তুষ্ট। এর মধ্যে ২০ দশমিক ১ শতাংশ সন্তুষ্ট। আর ৪২ দশমিক ৪ শতাংশ গ্রাহক ওয়াসার সেবায় মোটামুটি সন্তুষ্ট।’

টিআইবির প্রতিবেদন প্রকাশের পর গত ২০ এপ্রিল তা প্রত্যাখ্যান করেন ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন, ‘ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়। টিআইবি যে পদ্ধতিতে এ গবেষণা করেছে সেটি একপেশে ও উদ্দেশ্যমূলক। এটি পেশাদারি গবেষণা হয়নি। ৩৩২ কোটি টাকার অপচয়ের বিষয়ে টিআইবির গবেষণা অনুমান নির্ভর ও বাস্তবতা বিবর্জিত। ঢাকা ওয়াসার সরবরাহ করা পানি উৎস থেকে গ্রাহকের জলাধার পর্যন্ত পানি সম্পূর্ণ শতভাগ বিশুদ্ধ ও নিরাপদ।’

ওয়াসার এমডির এমন মন্তব্যের পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই। তারা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখান। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ এপ্রিল ওয়াসার সেই ‘সুপেয় পানির’ শরবত নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে হাজির হন রাজধানীর জুরাইন এলাকার বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন। কিন্তু সেই শরবত ওয়াসার কোনো কর্মকর্তাই খাননি। ‍উল্টো ওই ঘটনার পরের দিন মিজানুর রহমানকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

Bootstrap Image Preview