ময়মনসিংহের নান্দাইলে কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ হাইওয়ে, চৌরাস্তা-কেন্দুয়া এবং নান্দাইল-তাড়াইল সিএন্ডবি রাস্তার উপর অবৈধভাবে গাছের ডোম ও বিল্ডিং নির্মাণ সামগ্রীর হিড়িক পড়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগ ও যেকোন মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, নান্দাইল উপজেলার হাইওয়ে ও সিএন্ডবি রাস্তার পাশে বিভিন্ন ‘স’ মিল গড়ে উঠায় গাছ ব্যবসায়ীগণ রাস্তার উপর/রাস্তা ঘেষে গাছ রাখছেন তাদের সুবিধামতে। অত্র উপজেলায় ৫০টিরও বেশি ‘স’ মিল থাকলেও বৈধতা রয়েছে মাত্র একটির। যার ফলে দিন দিন রাস্তার পাশে অবৈধ ‘স’ মিল গড়ে উঠায় রাস্তার উপর দু-পাশেই রাখা হচ্ছে গাছের ডোম।
কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ হাইওয়ে সড়কের মুশুলী বাজার, নান্দাইল উপজেলা সদর, চামটা বাজার, কানারামপুর বাজার সংলগ্ন, চকমতি বাজার এবং নান্দাইল- তাড়াইল সিএন্ডবি রাস্তার নান্দাইল রোড বাজার, গাংগাইল, বড়াইল বাজার ও নান্দাইল চৌরাস্তা- আঠারবাড়ী সড়কের বাশঁহাটি, শান্তিনগর নামক স্থানে রাস্তার উপর বিভিন্ন গাছের ডোম, বাশেঁর আটি, ইটের খামাল, বালুর ঢিপ ও স্যানিটারী সামগ্রী ইত্যাদি রাখা হচ্ছে যা আইনত অবৈধ তথাপি কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে সেমস্ত সুবিধা বাদী লোকজন।
শুধু তাই নয় যে কোন সময় মেইন রাস্তা উপর গাড়ি দাড় করিয়ে উক্ত গাছ, বাশঁ, ইট, বালু ইত্যাদি ব্যবসায়ীগণ তাদের মালামাল উঠানামা করে থাকার দৃশ্য প্রায়ই দৃশ্যমান হয়। তখন বিভিন্ন যানবাহন চালক সহ যাত্রীসাধারণের দুর্ভোগ পোহাতে হয় ও যানজট দেখা দেয়।
এ ব্যাপারে ‘স’ মিলের মালিকগণের সাথে কথা হলে তারা বলেন, রাস্তার পার্শ্বে রাখার কারন যেকান মুহূর্তেই আমরা সেগুলো নিয়ে যাই এবং এখান থেকে সরবরাহ করতে সুবিধা হয়। এতে তেমন কোন অসুবিধা কাহারও হচ্ছে না।
তবে যানচালক আল আমিন জানান ও হৃদয় জানান, দিন দিন রাস্তার পাশে ‘স’ মিল গড়ে উঠায় রাস্তার উপর গাছের ডোম সহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী রাখছে। এতে করে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন যানবাহন চালক শ্রমিকগণ ও যাত্রী সাধারণরা।
নান্দাইল বন বিভাগের কর্মকর্তা দিপাঙ্কর রায় জানান, নান্দাইলে ৫০টি ‘স’ মিল রয়েছে, তন্মেধ্য একটির মাত্র ‘স’ মিলের বৈধতা আছে। আর বাকিগুলো লাইসেন্স এর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।