শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চান্দনি গ্রামের রিয়া আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে ঢাকায় নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী হারুন সরদারের (২৮) বিরুদ্ধে। হত্যাকাণ্ডের ১০ দিন পর রিয়ার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করেছে তার পরিবার।
এর আগে ২২ এপ্রিল ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রিয়ার মরদেহ শনাক্ত করে তার পরিবার। নিহত রিয়া আক্তার নড়িয়া উপজেলার ভোজেস্বর ইউনিয়নের চান্দনি গ্রামের মজিদ শেখের মেয়ে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সূত্রে জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে উপজেলার বিঝারি ইউনিয়নের সেকেন্দার সরদারের ছেলে হারুন সরদারের সঙ্গে ভোজেস্বর ইউনিয়নের চান্দনি গ্রামের মজিদ শেখের মেয়ে রিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। গত ৮ এপ্রিল হঠাৎ শ্বশুরবাড়ি থেকে রিয়াকে নিয়ে ঢাকায় যায় হারুন।
পরদিন মোহাম্মদপুরের একটি বস্তিতে বাসা ভাড়া নেয় তারা। বাসা ভাড়া নেয়ার পর রিয়ার সঙ্গে তার পরিবারের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে রিয়াকে না পেয়ে ১৬ এপ্রিল নড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার।
রিয়ার বাবা মজিদ শেখ বলেন, ১০ দিন মেয়ের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। এ কারণে থানায় জিডি করি। পরে থানা পুলিশের সহযোগিতায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মেয়ের মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, পরে জানতে পারি ১১ এপ্রিল রিয়াকে হাত-পায়ের রগ কেটে ওর স্বামী হত্যা করেছে। হত্যার দুইদিন পর (১৩ এপ্রিল) বস্তির ঘর থেকে রিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় হারুনের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তার পরিবারের সবাই পলাতক।
এ বিষয়ে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ বিডিমর্নিংকে বলেন, মোহাম্মদপুর থানায় এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই থানার পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।