Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে পদ্মা ও মেঘনার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৫২ PM
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৫২ PM

bdmorning Image Preview


সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে পদ্মা ও মেঘনার ওপাড়ে অবস্থিত বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নওপাড়ায় উপকেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক। এ সময় পদ্মা নদী দিয়ে সাবমেরিন কেবলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনকাজের উদ্বোধন করা হয়।

নওপাড়ায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণকাজ ও সাবমেরিন কেবলের লাইন উদ্বোধনের পর শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন।

এ সময় তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী ওয়াদা ছিল দুর্গম চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া। পদ্মা নদীতে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগামী দুই মাসের মধ্য এখানে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সাতটি ইউনিয়নের সব পরিবার বিদ্যুৎ-সংযোগ পাবেন।

এই প্রকল্পের আওতায় দুর্গম চরাঞ্চলে সাবমেরিন কেবলের ও সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হবে শরীয়তপুরের চারটি ও চাঁদপুরের তিনটি ইউনিয়নের ২০ হাজার পরিবারকে। শরীয়তপুরের মধ্য দিয়ে পদ্মা ও মেঘনা নদী প্রবাহিত হয়েছে। নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা, নওপাড়া, ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা, জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ও চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপীর, এলাপুর ও জহিরাবাদ ইউনিয়ন পদ্মা-মেঘনা নদীর দুর্গম চরে অবস্থিত।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের পদ্মা নদীর তীর থেকে চরগুলোর দূরত্ব ৬ থেকে ৭ কিলোমিটার। ওই দূরত্ব দিয়ে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ-সংযোগ দিতে পারছিল না। শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ উপমন্ত্রী এনামুল হকের উদ্যোগে মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ওই চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু করে। মুন্সিগঞ্জ আর নড়িয়ার নওপাড়ার মধ্যে পদ্মা নদীর দৈর্ঘ্য ১ কিলোমিটার। ওই ১ কিলোমিটার অংশ সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের সিদ্ধান্ত হয়।

সাতটি ইউনিয়নের ২০ হাজার পরিবারের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য ২৩০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজ চলছে। ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য নওপাড়া এলাকায় ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview