আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশের উপরে সূর্য লম্বভাবে অবস্থান করায় চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। বরং গত কয়েক বছরের রেকর্ড ছাড়াতে পারে এবারের তাপমাত্রা।
আবহাওয়াবিদ আবদুল কালাম মল্লিক বলেন, যশোর, পাবনা, রাঙ্গামাটি, রাজশাহী, কক্সবাজারসহ দেশের প্রতিটি জেলাতেই বিচ্ছিন্নভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। এপ্রিলজুড়ে আমরা কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছি না। তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে।
এই আবহাওয়াবিদ আরও জানান, এখন পর্যন্ত এ মাসে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল শনিবার (২০ এপ্রিল) রাঙ্গামাটিতে, ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজকের দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রেকর্ড হয়েছে রাঙ্গামাটিতে, ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৪ সালের পর এবারই প্রথম এপ্রিলের তাপমাত্রা চরম আকারে ঊর্ধ্বমুখী। ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল দেশে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। বেশিরভাগ আবহাওয়াবিদ বলছেন, আর কয়েকদিন বৃষ্টি না হলে ২০১৪ সালের রেকর্ড এবার ভেঙে যেতে পারে।
ড. মল্লিক আরও বলেন, এখন রাতের তুলনায় দিনের ব্যাপ্তি অনেক বড়। সূর্যের লম্ব কিরণের কারণে যে তাপমাত্রা বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলে প্রভাবিত হয়, সেটি রাতে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে পারে না। ফলে গরম থেকে যায়। এছাড়াও দক্ষিণ দিক থেকে আসা বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকায় গরম বাড়ছে। জলীয়বাষ্প সাধারণত বেশি সময় তাপ ধারণ করে রাখে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এখনো পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সেটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। চলতি এপ্রিলে ২০১৪ সালের তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙার সম্ভাবনা দেখলেও ‘৭২-এর সেই রেকর্ড ভাঙার সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অধিদফতর। অসহ্য গরমের যন্ত্রণায় এতটুকুই যা সান্ত্বনা।