Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

টাঙ্গাইলে তিন টন তামাকসহ ট্রাক জব্দ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০১৯, ০৩:৩৯ PM
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৯, ০৩:৩৯ PM

bdmorning Image Preview


টাঙ্গাইলে অবৈধ সিগারেট উৎপাদনের জন্য নেয়ার পথে তিন টন তামাকসহ একটি ট্রাক জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)র ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট বিভাগের একটি দল।

ট্রাকটির চালান পরীক্ষা করে দেখা যায় এতে তামাকের ডাস্ট বা উচ্ছিষ্ট আছে। কিন্তু এতে পাওয়া গেছে প্রক্রিয়াজাত তামাক। ট্রাকসহ জব্দকৃত তামাকের মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। প্রক্রিয়াজাতকৃত এই তামাক সিগারেট বানানোর কাজে প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহারযোগ্য বলে এনবিআরের অনুসন্ধানে তথ্য মিলেছে।

ট্রাকটি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিল বলে ধারনা করা হয়। গোপন সংবাদের উপর ভিত্তি করে ঢাকা পশ্চিম ভ্যাটের একটি দল ট্রাকের ওপর নজরদারি করে। ট্রাকটি বঙ্গবন্ধু সেতু অতিক্রম করে সেতুর পূর্ব প্রান্তে আসার পর স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ট্রাকটির গতিরোধ করে কাগজপত্র যাচাই করা হয়। ট্রাক চালান অনুযায়ী পণ্যচালানটি নেত্রকোনায় রহমান ট্রেড্রার্সের নামে আনা হয়েছে। ঐ ট্রাক চালান যাচাই করে দেখা যায় প্রাপকের ঠিকানা ভুয়া।

ট্রাকটিতে অনুসন্ধান চালিয়ে কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনীর বড়খাদা এলাকার গ্লোবাল লীফ টোব্যাকোর চালানপত্র পেয়েছে অভিযানকারী কর্মকর্তারা। এখানে যথাযথ ভ্যাট চালান বহন করা হয়নি।

ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে সিগারেট উৎপাদনের জন্য মিথ্যা চালানের মাধ্যমে কুষ্টিয়া থেকে পণ্য বের করা হয়। একইসাথে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কোন সিগারেট ফ্যাক্টরিতে ব্যবহারের জন্য এই তামাক আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এখানে উল্লেখ্য গত ১১ এপ্রিল ঢাকা পশ্চিম ভ্যাটের একটি দল র‌্যাব এর সহযোগিতায় টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার কামার্থী গ্রামে অটোরাইস মিলের আড়ালে গড়ে ওঠা অবৈধ সিগারেট ফ্যাক্টরির সন্ধান পায়। সে ফ্যাক্টরি থেকে নকল সিগারেট, ফিল্টার, প্রক্রিয়াজাত তামাক ও মেশিনারিজ জব্দ করে। এই ফ্যাক্টরিতে স্থাপিত উন্নতমানের মেশিনারিজ দিয়ে দৈনিক ২০ লক্ষ সিগারেট তৈরি করা সম্ভব। ফলে মাসে সরকারের প্রায় ৫১ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি হতো। ঐ ফ্যাক্টরি থেকে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর ব্র্যান্ডের নকল সিগারেট উৎপাদন করা হতো। আজকের জব্দ করা প্রক্রিয়াজাতকৃত তামাকের সাথে পূর্বের জব্দকৃত তামাকের মিল রয়েছে বলে জানান এনবিআর কর্মকর্তারা।

তাঁরা ধারণা করছেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকায় আরো অবৈধ ফ্যাক্টরি আছে।

ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট অফিস সূত্রে জানা যায়, আটককৃত ট্রাকের নম্বর হলো কুষ্টিয়া-ট-১১-০৯৪১। আটকের পর ট্রাকটি টাঙ্গাইল ভ্যাট বিভাগীয় দপ্তরে জমা করা হয়েছে। ভ্যাট ফাঁকি ও অবৈধ পণ্য ব্যবহারের প্রচেষ্টাজনিত কারণে মামলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান ও তদন্তশেষে আরো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান অভিযান পরিচালনাকারী ভ্যাট কর্মকর্তারা।

Bootstrap Image Preview