দিনাজপুর ফুলবাড়ীতে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ভূমিদস্যু হিসেবে মাইকিং করে সম্মানহানি করার প্রতিবাদে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ফুলবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে দিনাজপুর ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়ানের দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত: গুদুতুল্যা মন্ডলের পুত্র মোঃ শফুর উদ্দিন মন্ডল।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সফুর উদ্দিন জানান, আমার পিতা মৃত: গুদুতুল্যা মন্ডল বেতদিঘী মৌজার ৬শ’ ৫২ নং দাগের ৩ একর পুকুর জমিদার জগদীশ চন্দ্র বাহাদুরের নিকট হতে হুকুমনামা গ্রহণ করে মালিকানা স্বত্বে দখল ভোগ করা কালিন মৃত্যুবরণ করলে।
আমিসহ আমার অপর ওয়ারিশগণ উক্ত পুকুরটি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে দখল ভোগ করে আসছি। পুকুরটি সরকার খাস পুকুর হিসেবে রেকর্ডভুক্ত করায় আমি সরকারকে বিবাদী করে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। উক্ত মামলাটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এমতাবস্থায় এলাকার কতিপয় মহল আমার পুকুরটি বেদখল করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে ষড়যন্ত্র করে আসছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমার পার্শ্ববর্তী বেতদিঘী গ্রামের সৈয়দ জাহিদুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ সাইফুল ইসলাম একই গ্রামের মৃত: আবারক আলী শাহ‘র ছেলে ইলিয়াস আলী শাহ ও মৃত: আব্দুল জলিলের ছেলে আনিসুর রহমান শাহ্ আমার পুকুরটিতে মাছ ধরতে বাধা সৃষ্টি করে এবং আমার ছেড়ে দেওয়া মাছ তারা জোরপূর্বক লুট করে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করে। তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হলে তারা আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ফুলবাড়ী থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগের ভিত্তিতে থানা কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষকে শুনানির জন্য ডাকে। শুনানির দিন থানা কমপ্লেক্সের মধ্যে উপস্থিত জনতা ও পুলিশের সামনে বিবাদী সাইফুল ইসলাম আমার ভাতিজা শিক্ষক মোঃ মাহাবুর রহমানের উপর উদ্ধত আচরণ করে। এমতাবস্থায় এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাসিম হাবিব উভয়পক্ষকে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম চৌধুরী ছুটিতে থাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্মস্থলে যোগদান না করা পর্যন্ত কোন প্রকার সিদ্ধান্ত না দিয়ে উক্ত পুকুরে যেতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
থানা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্মস্থলে যোগদান না করা পর্যন্ত অপেক্ষায় রয়েছি। কিন্তু বিবাদীগণ গত ১৯/০৪/২০১৯ইং তারিখে হঠাৎ আনুমানিক বেলা দুই ঘটিকার সময় মাইকিং বের করে আমাকে ও আমার ২ ভাতিজা শিক্ষক মাহাবুর রহমান ও শিক্ষক জিয়াউর রহমানসহ আমার পরিবারকে ভূমিদস্যু হিসেবে আখ্যায়িত করে।
এতে করে আমার ও আমার পরিবারের সম্মানহানি ঘটেছে। একই সাথে আমার পরিবারের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই আমি আপনাদের মাধ্যমে আমার পরিবারের সম্মান ও আমার মালিকানার পুকুরটি মহলের হাত থেকে রক্ষার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।