বগুড়ার ধুনট উপজেলায় শিতলা বিলের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রীসহ উভয় পক্ষের ১৮ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার অলাহামিদিয়া গ্রামে শিতলা বিল আবাসন প্রকল্পে (গুচ্ছগ্রাম) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ওই গুচ্ছগ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহতরা হলো মোজাম উদ্দিনের ছেলে জামিল উদ্দিন (৩০), রুস্তম আলীর ছেলে মোন্নাফ আলী (৪০), আব্দুল হান্নান (৩৫), হান্নানের ছেলে শামীম আহমেদ (১৭), অছিম শেখের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৬০), তার স্ত্রী খোদেজা খাতুন (৫০), ছেলে বাবু মিয়া (৩০), জামাই রফিকুল ইসলাম (৩৫), রমজান আলীর ছেলে মোকবুল হোসেন (৫৫), তার স্ত্রী আছফুল খাতুন (৪০), ছেলে আপেল মিয়া (৩০), জসিম উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪০), ছেলে রাব্বি (১৫), ইনজিল আলীর স্ত্রী মরজিনা (৪৫), মনির হোসেনের স্ত্রী চামিলি (৪০), বছির উদ্দিনের ছেলে সোলায়মান আলী (৫০), আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুস ছালাম শেখ (৩৮) ও আব্দুল আকন্দের ছেলে আব্দুস ছালাম আকন্দ (৫৫)।
আহতদের ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে জামিল উদ্দিন, মোন্নাফ আলী ও আব্দুল হান্নানের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অলাহামিদিয়া গ্রামে শিতলা বিলে ২০০৩-২০০৪ সালে দুঃস্থদের জন্য সরকারি অর্থায়নে ৮টি ব্যারাক নিয়ে একটি আবাসন প্রকল্প তৈরী করা হয়। সেখানে ১২০টি ভূমিহীন দুঃস্থ পরিবার বসবাস করে। ওই আবাসন প্রকল্পের অধীনে বিল ও একটি পুকুর রয়েছে। সেখানে মাছ চাষ করে আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা জীবিকা নির্বাহ করে।
সম্প্রতি ওই বিলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আবাসন প্রকল্পের সদস্যরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। বিল লিজ ও মাছ চাষ নিয়ে প্রায় ১ বছর যাবত তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে ওঠে। শুক্রবার সন্ধ্যায় দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে শিতলা বিল আবাসন প্রকল্প এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ধুনট থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শিতলা বিলের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোন পক্ষই অভিযোগ দেয়নি।