ঝিনাইদহ শহরের সিদ্দিক ব্রেড এন্ড কনফেকশনারিতে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও উৎপাদন স্থলে ছুঁচোর উপস্থিতি দেখতে পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঝিনাইদহ শহরে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় সিদ্দিক ব্রেড এন্ড কনফেকশনারির ভিতরে ছুঁচোর উপস্থিতি দেখতে পায় ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনাকারী সদস্যরা।
পরে সিদ্দিক ব্রেড এন্ড কনফেকশনরির মালিক সিদ্দিকুর রহমান আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যে ছুঁচো নিধন করে রান্নার জায়গা নতুন করে নির্মাণের অঙ্গীকার দেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল জানান, তাকে উন্নত পরিবেশে খাবার তৈরি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এটা করতে তিনি ব্যর্থ হলে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে ঝিনাইদহের হোটেল রেস্টুরেন্ট ও ফুটপাতে গড়ে ওঠা ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে আমরা কি খাচ্ছি তা দেখার কেও নেই। পৌরসভা ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের স্যানিটারি ইন্সপেক্টরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদাসিনতার কারণে বাসি পঁচা ও ময়লাযুক্ত খাবার খেয়ে যাচ্ছে মানুষ। জেলার ৬ উপজেলা ও বাজারঘাটের হোটেলগুলোতে ঢুকলে নাকে উৎকট গন্ধ আসে।
মশা, মাছি এমনকি ছুঁচোর আনাগোনা খাবারের পাত্রে। সেই পাত্রে বানানো হচ্ছে সিঙ্গাড়া, ছমোচা, চপ, পিয়াজু, জিলাপি, মোগলাই পরাটা ও মুরগী ফ্রাই। পুরাতন ডিসি কোর্টের আশেপাশে ফুটপাতে গজিয়ে উঠেছে চিংড়ি ও মুরগী ফ্রাইয়ের ভ্রাম্যমান দোকান। সন্ধ্যা লাগলে এ সব দোকানে প্রচন্ড ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এ সব দোকানে আমরা কি খাচ্ছি তা নিয়ে যেন কারো মাখা ব্যাথা নেই। খাবারগুলো ঢেকে না রাখার কারণে বাতাসে ধুলাবালি ও মাছি বসছে। সেই খাবার খেয়ে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল ও জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল হক মন্টুসহ চেম্বার নেতারা।