Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১০ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নবম শ্রেণির প্রশ্নপত্রে সানি লিওন-মিয়া খলিফা, যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:৫৩ PM
আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:১৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


নবম শ্রেণির প্রশ্নপত্রে পর্ন তারকা সানি লিওন-মিয়া খলিফার নাম আসাকে অন্যায় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর তিতুমীর কলেজে ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘স্কুলের প্রশ্নপত্রে পর্ন তারকাদের নাম আসাটা অন্যায়। এটি শিক্ষার্থীদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যেই স্কুলের নামে এ অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত করে সেটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে গত বুধবার ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রের বহু নির্বাচনি প্রশ্নপত্রে এসেছে সাবেক ও বর্তমান পর্ন তারকা সানি লিয়ন ও মিয়া খলিফার নাম। দুটি প্রশ্নে তাদের নাম দুটি দেওয়া হয়। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদপত্রে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

শুক্রবার পরীক্ষা শুরুর আগেই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল রাজধানীর তিতুমীর কলেজকেন্দ্র পরিদর্শনে যান।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন-শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এসএম আশফাক হুসেন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

গত বুধবারের ওই প্রশ্নপত্রে জানতে চাওয়া হয়েছিল ‘বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার নাম কী? এমন একটি প্রশ্নে সম্ভাব্য চারটি উত্তর দেওয়া হয়। এতে রয়েছে লেবানিজ পর্ন তারকা মিয়া খলিফার নাম। তবে নামের বানানে ভুল আছে। তাতে লেখা হয়েছে ‘মিয়া কালিফা’।

আরেকটি প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘আম -আটির-ভেঁপু’ কার রচিত?’ (প্রশ্নপত্রে আঁটি বানানে চন্দ্রবিন্দু নেই)। এই প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তরের একটি নাম সানি লিওন।

এ বিষয়ে কথা হলে রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয় প্রকাশ সরকার জানান, প্রশ্নে উত্তরে নামদুটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। তারা এ ব্যাপারে অবগত ছিলেন না। ফেসবুক ব্যবহার না করায় এই ভুল সম্পর্কে জানেন না বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

তিনি বলেন, ‘আজ অভিযুক্ত শিক্ষককে নিয়ে আমরা মিটিং করেছি। শিগগিরই তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক শংকর চক্রবর্তী প্রশ্নপত্রটি তৈরি করেছেন বলে জানা যায়। তিনি বলেন, ‘এটি মানবিক ভুল। আমি বুঝতেই পারিনি এটি এমন বিতর্ক তৈরি করবে। প্রধান শিক্ষকের পায়ে ধরে আমি ক্ষমা চেয়েছি। আর কখনো এমন ভুল হবে না।’

Bootstrap Image Preview