প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে ভাবে দেখেছেন সে ভাবেই চিনেছেন এবং সেভাবেই তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন উল্লেখ করে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর বলেছেন শেখ হাসিনা বংলাদেশের প্রতি ইঞ্চি মাটিতে পা রেখেছেন। এমন কোনো উপজেলা নাই, যে উপজেলায় তিনি যান নাই। এমন কোনো নদী নাই, যে নদীর পাড়ে যান নাই। এমন কোনো জেলা নাই, যেখানে তিনি যান নাই। এমন কোনো রাস্তা নাই, যে রাস্তায় তিনি যান নাই।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে 'নদী ও জলকেন্দ্রিক পর্যটনঃ সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটি আয়োজন করে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং ট্রাভেল ম্যাগাজিন ‘ভ্রমণ’।
এসময় নদীর পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে তিনি বলেন, এসব স্থাপনা উচ্ছেদ আমার কাছে কষ্ট লেগেছে। কারণ এখানে বিরাট একটা অর্থনীতিক বিনিয়োগ আছে। এটা কিন্তু ওরা জানে না, না জানার কারণেই এখানে বিনিয়োগ করেছে।
তিনি বলেন, বিজিএমইএ ভবনকে অন্য কাজে ব্যবহারের জন্য সামাজীক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে। তা আমি গণপুর্ত মন্ত্রীকে বললাম। তিনি আমাকে জানান এটা যদি ধ্বংশ না করি তাহলে এরকম কাজ আবারও কেউ করার সাহস পাবে। এ জন্য এটা আমাদেরকে করতেই হচ্ছে।
আমাদের দেশের মানুষের রুচির পরিবর্তন হচ্ছে বলে তিনি আরো বলেন, আগে ট্রেনের ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণীর টিকেট বিক্রি হতো এখন ফাষ্ট ক্লাস সেকেন্ড ক্লাস সুলভ এরকম হলেও এখন কিন্তু প্রত্যেকটা মাসুষ ভালোটাই চায়।
সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তব্যে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি চৌধুরীর বলেন, যে দেশের যোগাযোগ ব্যাবস্থা যত উন্নত সে দেশ তত উন্নত। আমাদের এই দেশে নদীপথ অত্যন্ত বিস্তৃত এবং সম্ভাবনাময়। আমরা এই বিস্তৃত নদীপথ যেমন সম্ভাবনাময় তেমনি পর্যটনের জন্যও ব্যাপক সম্ভাবনাময়।
পর্যটক পুলিশের ডিআইজি মল্লিক ফখরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে পর্যটক পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করতে প্রাণ দিয়েছে। বাংলাদেশের পর্যটন প্রচুর সম্ভাবনাময় কিন্তু এর যথাযথ পর্যবেক্ষণ ও প্রচারের অভাবে পিছিয়ে আছে।
বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান এম মাহবুবুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে এমন কিছু পাখি পাওয়া যায়, যা বিশ্বের অন্য কোনো দেশে পাওয়া যায় না। এছাড়াও এদেশের নদীমাতৃক সৌন্দর্য উল্লেখযোগ্য। নদী ও পর্যটনে বাংলাদেশকে প্রচার চালাতে হবে এবং নতুন পর্যটনকে আকর্ষণ করতে হবে। তাহলে আমাদের এই সম্ভাবনাময় দিগন্তের দুয়ার খুলে যাবে।
পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবীর বলেন, আমাদের এসব নিয়ে পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। আমরা যদি এই খাতকে নিয়ে যথাযথভাবে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে পারি তাহলে দেশের পর্যটনের ইন্টারনাল বাজার ধরতে পারবো আর এর সাথে আর্ন্তজাতিকটাও বাড়বে। আমাদের সবার আগে ইন্টারনালকে গুরত্ব দিতে হবে কেনোনা এখানেই ৭০ শতাংশ রয়েছে। যেমন পৃথীবির ২য় আর কোনো শহরে ৩ কোটি মানুষ বাস করে না ।