কুমিল্লা সদর উপজেলার আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকার দুইটি আবাসিক হোটেল অভিযান চালিয়ে খদ্দেরসহ ১০ নারী-পুরুষকে আটক করেছে র্যাব।
এ সময় দুটি হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে ১৩৫ পিস ইয়াবা, দুই বস্তা কনডম ও নগদ দুই লাখ ২৭ হাজার টাকাসহ হোটেল ম্যানেজার আব্দুস সাত্তারকে আটক করা হয়। সেই সঙ্গে জিংসিন চারটা, জেল ১৫০ পিস ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে এ অভিযান চালানো হয়। সন্ধ্যায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র্যাব-১১, সিপিসি-২-এর ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও সহকারী পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জয় রায় ও র্যাব-১১, সিপিসি-২-এর ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার প্রণব কুমারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। আটক নয়জনকে ২০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-১১ সিপিসি-২-এর উপ-পরিচালক প্রণব কুমারের নেতৃত্বে আলেখারচর বিশ্বরোডে অবস্থিত আবাসিক হোটেল ‘তানিম’ ও ‘বৈশাখীর’ দোতলার একটি ড্রয়ারে তল্লাশি চালিয়ে ১৩৫ পিস ইয়াবা, দুই বস্তা কনডম ও নগদ দুই লাখ ২৭ হাজার টাকাসহ হোটেল ম্যানেজার আব্দুস সাত্তারকে আটক করা হয়। আটককৃত আব্দুস সাত্তার কুমিল্লার হোমনা উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের মৃত কানু মিয়ার ছেলে।
অভিযানের সময় দুটি হোটেলের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তিনজন যুবক, দুইজন খদ্দের ও চারজন তরুণীকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটককৃত নয়জনকে ২০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনি রায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-১১, সিপিসি-২-এর ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও সহকারী পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, ‘তানিম’ ও ‘বৈশাখী’ হোটেলে অভিযান চালিয়ে হোটেল ম্যানেজারের রুম থেকে ১৩৫ পিস ইয়াবা ও নগদ দুই লাখ ২৭ টাকা উদ্ধার করেছি। সেই সঙ্গে হোটেলের ম্যানেজার আব্দুস সাত্তারকে আটক করেছি। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।