Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পারিবারিক বিরোধ, থানায় অভিযোগ করায় মারধর

আসাদ গাজী, শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১০:১৯ AM
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১০:১৯ AM

bdmorning Image Preview


শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরসেনসাস ইউনিয়নে মারধরের শিকার হয়ে থানায় অভিযোগ করায় একটি পরিবারকে ফের মারধর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে চরসেনসাস ইউনিয়নের মাদবর কান্দির বাসিন্দা মৃত বাবুল মাদবরের পরিবারের লোকজনকে তার সৎ ভাইবোনরা মারধর করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারটির।

এ ঘটনায় মৃত বাবুল মাদবরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০) ও তার ছেলে জিহাদ (১৪) মারধরের আহতে হয়ে বর্তমানে ভেদরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি আছে।

সরেজমিন ঘুরে ও ভুক্তভোগী পরিবারে সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বাবুল মাদবরের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সৎ ভাইবোনদের দ্বন্দ্ব চলছিল। সোমবার বিকালেও পরিবার দুটির মধ্যে জমিতে ঘর তোলা নিয়ে তর্কবিতর্ক ও মারামারি হয়।

এ বিষয়টি নিয়ে সোমবার রাতে মৃত বাবুল মাদবরের মেয়ে কনিকা সখিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পরে মঙ্গলবার সকালে থানায় অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে আবারও দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়।

এ সময় বাবুল মাদবরের সৎমা ফারুকী বেগম, সৎভাই শাহাদাত ও আমিনুল এবং সৎবোন আফরোজার মারধরে তার তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও ছেলে জিহাদ গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ভেদরগঞ্জ হাসপাতালে পাঠায়।

বাবুল মাদবরের বড় মেয়ে কনিকা আক্তার বলেন, আমার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার সৎচাচা ও ফুফুরা আমাদেরকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে। আমাদের জমিতে আমরা ঘর তুলব কিন্তু সেখানে তারা বাধা দেয়। পরে মঙ্গলবার সকালে আক্তার মাদবরের হুকুমে লোহার শাবল, কাঠ ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আমাদের পরিবারের সবাইকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আমার মা গুরুতর আহত হয়েছে।

কিন্তু আক্তার মাদবর তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। আমাকে কেন জড়ানো হচ্ছে তাও বুঝতে পারছি না।

এ বিষয়ে মৃত বাবুল মাদবরের সৎমা ফারুকী বেগম বলেন, সোমবার ঘরে গিয়ে আমাদের মারধর করেছে। পরে আজকে আবার কাঠের ময়লা নিয়ে ঝগড়া হওয়ার পর আমরা মেরেছি। গতকাল মার খেয়েছি পরে আজ আমরা মেরেছি, আজ তারাও আমাদের মেরেছে।

এ বিষয়ে সখিপুর থানার ওসি মো. এনামুল হক বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মীয়স্বজনদের মাঝে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview