আবহমান বাংলার ঐতিহ্য তাঁতশিল্প চরম হুমকির মুখে। মাত্র ২৮ বছরে ৯৬ হাজার ৪১৫টি তাঁত ইতিমধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। শিল্পে শ্রমিক কমেছে ৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৫০ জন।
আজ মঙ্গলবার বিকাল চারটায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কার্যালয়ে 'তাঁত শুমারি-২০১৮' এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেন তাঁত শুমারি-২০১৮ প্রকল্পের পরিচালক মহিউদ্দীন আহমেদ।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ১ জুলাই প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশন অনুমোদন করে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৬৬ দশকমিক ৩৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি শেষ হবে চলতি বছরের ৩০ জুন।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ তাঁতশিল্প ছিল ২ লাখ ১২ হাজার ৪২১টি। ২০০৩ সালে এটি দাঁড়ায় ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২টি। ১৩ বছরে কমে ২৮ হাজার ৯০০টি। আর ১৫ পরে ২০১৮ সালে এসে ৯৬ হাজার ৪১৫টি তাঁতশিল্পে পরিণত হয়েছে।
গত ২৮ বছরে এই পেশা থেকে হারিয়ে গেছে ৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৫০ জন মানুষ।
তাঁতশিল্প হারিয়ে যাওয়ার পেছনে যান্ত্রিকতাকে উপলক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি।
তিনি বলেন, তাঁতশিল্প হারিয়ে যাওয়ার পেছনে যান্ত্রিকতায় দায়ী। ধীরে ধীরে মানুষ যান্ত্রিকতা দিকে যাচ্ছে। ফলে প্রাচীন ঐতিহ্যটি হারিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, তাঁতশিল্প প্রধান ভূমিকায় না থাকলেও এটি আবেগের বিষয়। সংস্কৃতির বিষয়। কেননা সংস্কৃতিই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। আমরা সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখি না। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ কিন্তু আমাদের আলাদা সংস্কৃতির কারণেই হয়েছিল।
পরিকল্পনামন্ত্রী সরকারি কাজে ব্যয়ভার কমানোর বিষয়ে বলেন, বাহুল্য খরচ বাদ দিয়ে, অপচয় বাদ দিয়ে নিয়ন্ত্রিতভাবে অর্থ ব্যয় করতে হবে। কেননা এসব অর্থ সাধারণ জনগণের।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, প্রকল্পটির পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ।