বগুড়ার ধুনট উপজেলায় অপহরন মামলার আসামি এক বখাটে ও তার সহযোগীদের ভয়ে কলেজছাত্রীর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিনযাপন করছে। এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরের দিকে ধুনট থানা পুলিশ অভিযোগটি তদন্ত করেছে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাগাটিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর মেয়ে চান্দাইকোনা হাজী ওয়াহেদ মরিয়ম ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী। ওই ছাত্রীকে একই গ্রামের বক্কার মন্ডলের ছেলে হাফিজুর রহমান প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্ত মেয়েটি প্রেমে সাড়া দেয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হাফিজুর রহমান ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারী ওই কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে।
এ ঘটনায় হাফিজুর রহমান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মেয়েটির বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বগুড়া আদালতে মামলা ( মামলা নং ১৯৮/১৮) দায়ের করে। অপহরনের প্রায় ৬ মাস পর মেয়েটি উদ্ধার হয়ে বর্তমানে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে। এদিকে হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এ অবস্থায় হাফিজুর রহমান ও তার লোকজন আদালত থেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদী শহিদুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজনকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। ফলে শহিদুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিনযাপন করছে। এ ঘটনায় শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে হাফিজুর রহমান ও তার সহযোগী জালাল উদ্দিনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
এ বিষয়ে জালাল উদ্দিন বলেন, আত্মীয়তার সূত্র ধরে হাফিজুর রহমানকে মামলা সংক্রান্ত কাজে সহযোগীতা করছি। এতে মামলার বাদী ও তার লোকজন ১১ এপ্রিল আমাকে মারধর করে উল্টো আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
ধুনট থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রায়হান সোবাহান বলেন, অভিযোগটি সরেজমিন তদন্ত করা হয়েছে। এ বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমঝোতার প্রক্রিয়া চলছে। তবে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।