Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মৈত্রী পানি বর্ষণে সিক্ত বান্দরবান

সোহেল কান্তি নাথ, বান্দরবান প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:৩৮ PM
আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:৩৮ PM

bdmorning Image Preview


বান্দরবানে জলকেলিতে মাতোয়ারা মারমা তরুণ-তরুণীরা। মারমা সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই। আর জলকেলি উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ। এ জলকেলিতে মাতোয়ারা থাকেন বান্দরবানের মারমা শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীরা। সাংগ্রাই উৎসবের পানি খেলার মাধ্যমে পুরনো বছরের সকল দুঃখ-কষ্ট, গ্লানি ধুয়ে-মুছে নতুন বছরকে বরণ করে তারা।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে স্থানীয় রাজার মাঠে জলকেলিতে অংশ নেওয়া তরুণ-তরুণীদের একে অপরের গায়ে পানি ঢেলে মৈত্রী পানিবর্ষণ প্রতিযোগিতার উদ্ধোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

জলকেলি উৎসবে ছোট-বড় কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পানি খেলায় মেতে ওঠেন মারমা তরুণ-তরুণীরা। আশেপাশের শত শত পাহাড়ি নারী-পুরুষ এবং দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভিড় জমান জলকেলি উৎসব দেখতে।

এ উৎসবে পানি খেলা ছাড়াও পিঠা তৈরি, বুদ্ধমূর্তি স্নান, ক্যায়াং ক্যায়াংয়ে ছোয়াইং দান, হাজার প্রদ্বীপ প্রজ্বলন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়। সাংগ্রাই উৎসবে পানি খেলার পাশাপাশি আয়োজিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে নেচে-গেয়ে মাতিয়েছেন পাহাড়ি শিল্পীরা। মারমা শিল্পীগোষ্ঠী ছাড়াও পাহাড়ের নবীন-প্রবীণ শিল্পীদের পরিবেশনাও মুগ্ধ করে দর্শক-শ্রোতাদের।

জলকেলি উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার, পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর বাংলা সনের নববর্ষকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয় সাংগ্রাই উৎসব। নববর্ষকে পার্বত্য এলাকার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা ভিন্ন ভিন্ন নামে অবহিত করে। চাকমারা বিঝু, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু, ত্রিপুরারা বৈসু নামে অবহিত করে। নববর্ষকে যে নামে ডাকা হোক না কেন সমতলের চাইতে পার্বত্য অঞ্চলে নববর্ষের আনন্দের আমেজ ভিন্ন ধরণের।

খুব ভোরে উঠে নদীতে ফুল ভাসানো, ঘরে প্রবেশের প্রধান দরজা ফুল দিয়ে সাজানো, পাচন তৈরি (নববর্ষকে ঘিরে ঐ দিনে বিভিন্ন প্রকার সবজি দিয়ে তৈরি করা সবজি তরকারীর নাম পাচন), ঘিলা খেলা, বলী খেলা, পিঠা তৈরি, বয়স্কদের পূজা করাসহ নানা ধরণের আয়োজন হয়ে থাকে। নববর্ষকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন আদিবাসীরা প্রত্যেক সম্প্রদায়ের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে উৎসবে অংশগ্রহণ করে।

Bootstrap Image Preview