Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নতুন বিধিমালা: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ হবে থানাভিত্তিক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:০৩ PM
আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:০৩ PM

bdmorning Image Preview


সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় পাঁচটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইতিমধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক বিধিমালা-২০১৯’ এর গেজেট প্রকাশ করেছে।

নতুন নিয়োগ বিধিমালায় শিক্ষক নিয়োগ আগের মতোই উপজেলা বা থানাভিত্তিক করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে গঠিত সহকারী শিক্ষক নির্বাচন কমিটির সুপারিশ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে সহকারী শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগ দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা না হলে বা বাংলাদেশের নাগরিক ভিন্ন কাউকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।

নতুন বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক পদে পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা অনার্স অথবা সমমানের ডিগ্রি হতে হবে। বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ থেকে ৩০ বছর। তবে নারী প্রার্থীদের জন্য ৬০ শতাংশ কোটা বহাল থাকবে। ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা ও বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞান বিষয়ে পাস করা প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যদি ২০ শতাংশ কোটা পূরণ না হয়, তবে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে।

প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নিয়োগ প্রার্থীর বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ২১-৩০ বছর। আগে তা ছিল ২৫-৩৫ বছর। প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির মাধ্যমে ৬৫ শতাংশ আর পিএসসির মাধ্যমে সরাসরি ৩৫ শতাংশ নিয়োগ দেওয়া হবে। আগে যে কোনো বিষয়ে পাস করা প্রার্থীর সমান সুযোগ থাকলেও নতুন নিয়মে বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের জন্য ২০ ভাগ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ক্লাস্টার বা উপজেলাভিত্তিক আর্ট ও সঙ্গীত শিক্ষক রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০১৩ সালের নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করে এতদিন শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এখন থেকে নতুন নিয়োগ বিধিমালা কার্যকর হবে।

Bootstrap Image Preview