নরসিংদী রাত পোহালেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে প্রতিটি উপজেলায় ও গ্রাম পর্যায়ে বিদ্যালয়গুলোতে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, বাহারী রঙে বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভ সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পী ও কলাকৌশলীরা।
এটাই যেন শেষ নয়, কুমারী বাড়িতে চলছে মাটির তৈরি হাড়িগুলোতে বিভিন্ন রঙবেরঙে সাজিয়ে পহেলা বৈশাখের মেলাতে বিক্রি করতে ছেলে মেয়েসহ সবাই বিভিন্ন নকশি তৈরির জন্য মাটির হাড়িতে কাজ করছে।
প্রতিবছরের মত এবারও এই জেলায় বাংলা নতুন বছরকে বরণ করতে আয়োজন করা হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বৈশাখী মেলার। মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য হাতি, ঘোড়া, বাঘ, মাছ, ময়ূর, পাখি, ঘুড়ি ইত্যাদি তৈরি এখন শেষ পর্যায়ে। এছাড়া কাগজ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নানা রকম মুখোশ।
বাঙালি সংস্কৃতি ধরে রাখতে এই আয়োজন বলে জানালেন আয়োজকরা। ব্যবসায়ীরা জানালেন, নববর্ষ উপলক্ষে বেচাকেনা বেশ ভালো।
এদিকে বৈশাখের অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন আয়োজকরা।
বৈশাখ উপলক্ষে এদিকে বিভিন্ন স্কুল কলেজে নাটকে অভিনয় করার জন্য কর্মীদের রিএক্সেল করানো হচ্ছে। রায়পুরা থানা মরজাল ইউনিয়নের বশির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্ররা বৈশাখী সন্দেহীন নাটকটি করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি হাতে নিচ্ছে। কাউকে দিচ্ছে মাটিকে সৌন্দর্য প্রকাশ করার একটি অভিনয় ও বৈশাখী রঙ্গের পূর্ণাঙ্গ অভিনয় করতে আবার কেউ স্বামীকে ইলিশ মাছের সাথে পান্তা ভাত খাইয়ে বৈশালী মেলায় যেতে এসব অভিনয় বেছে নিচ্ছেন তারা।
এদিকে নরসিংদী জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা মোসলেহ উদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়াম হইতে দোয়েল চত্বর (মালাকার মোড়) ঘুরে স্টলাস্টিকা মডেল কলেজ হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমী নতুন পর্যন্ত।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নেয়া হয়েছে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।