প্রতিবারের মতো এবারও নানা আমেজের মধ্য দিয়ে রবিবার (১৪ এপ্রিল) পালিত হতে যাচ্ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব বৈশাখ। আর এই বর্ষবরণের দিনকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতির যেন শেষ নেই। এর মধ্যে মৃৎশিল্পের পণ্যের চাহিদা উল্লেখযোগ্য। এবার দোয়েল চত্বরে পহেলা বৈশাখসহ ৭ দিনে মোট ৯০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর মধ্যে মাটির তৈরি প্লেট, জগ, হাড়িসহ পাট, বেত ও বাশের পণ্যও রয়েছে। যেসব পণ্য বেশি বিক্রি হচ্ছে, মাটির প্লেট ছোট বড় সাইজের ১৫০ থেকে ৮০ টাকা, গ্লাস ৪০/৫০ টাকা, মগ ৫০ টাকা, হাড়ি ছোট থেকে বড় ১৫০/২০০/২৫০ টাকা, সানকি বাংলা ৩০/৪০ টাকা, সানকি ১৮০ টাকা, বাটি ছোট-বড় ৫০/১৫০ টাকা, বড় বাটি ২০০ টাকা, কলস ১৫০/৮০ টাকা, ঝগ ১৫০/২০০ টাকা, কাপ-পিরিজ ৫০ টাকা, হারিকেন ১০০/২৫০ টাকা, হাতি ঘোড়া ৩০/৪০ টাকা। ঝুড়ি ১০০ টাকা, পাখা ৩০/৫০ ছোট কোলা ৪০ টাকা, একতারাতে একাধিক সাইজের ৫০ থেকে ৮০ টাকা, ডুগডুগি ৬০ টাকা।
অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম বেশি বলে ক্রেতাদের দাবি তবে বিক্রেতারা বলছে স্বাভাবিক। এসব পণ্য দোয়েল চত্বর, ধানমণ্ডি, কারওয়ানবাজার, উত্তরাসহ রাজধানীর বেশকিছু এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
এবিষয়ে ঢাকা মহানগর মৃৎশিল্প সমিতির সভাপতি ইসমাইল হোসাইন মানিক বিডিমর্নিংকে জানান, তাদের এবারের বৈশাখে তাদের বিক্রি নিয়ে।
তিনি বলেন, আমরা এবার সারা বাংলাদেশে এরকম যত পণ্যের সমাহার আছে তার সবকিছু সংগ্রহ করেছি এবং এর দাম নিয়ন্ত্রণে রেখে সাবার হাতের নাগালেই রেখেছি।
'আমরা আশা করছি এবার আমাদের এখানে প্রায় ৪০টি দোকানের মোট বিক্রির অংক দাড়াবে ৯০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা।'
তিনি আরো বলেন, আমরা এখানে সারাবছরই বিক্রি করি। তবে প্রতিবছর বৈশাখে আমাদের বিক্রির পরিমাণ বেশি থাকে। আমরা এই শিল্পের সাথে প্রায় ২ লাখ মানুষ জড়িত আছি। আমরা মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্য সংগ্রহ করি।
উল্লেখ্য, দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। এই উৎসব শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়। আর এই উৎসব পালনে বাঙালিরা তাদের অতীতের মৃৎশিল্পের ব্যবহারটা সৌখিনতার সাথে করে।