Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সাহিত্য-সংস্কৃতিকে রক্ষায় দেশের নদীগুলো বাঁচাতে হবে: খালিদ মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৩০ PM
আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৩০ PM

bdmorning Image Preview


দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হলে দেশের নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকালে শিল্পকলা একাডেমিতে ইরান কালচারাল সেন্টার আয়োজিত ইরানি নওরোয (নববর্ষ) ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

খালিদ মাহমুদ বলেন, সবকিছু ইট-পাথর দিয়ে ঘেরা হয়ে গেলে আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি দুর্বল হয়ে যাবে। আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হলে প্রকৃতিকে বাঁচাতে হবে। নদীকে বাঁচাতে হবে। আমাদের গ্রামগুলোকে বাঁচাতে হবে।

উন্নত দেশের সঙ্গে উন্নত প্রকৃতির সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন। উন্নত দেশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। দেশ ও প্রকৃতি কিভাবে রক্ষা হবে তার জন্য তিনি ডেল্টা প্ল্যান দিয়েছেন। আমরা মনে করি এ দেশের সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হলে দেশের নদীকে রক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার আবহমান গ্রাম বাংলার প্রকৃতি সেটাকে মেলে ধরার জন্য, রক্ষা করার জন্য ইতিমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আপনারা যারা ঢাকার মানুষ তারা দেখতে পেরেছেন, আমরা বড় একটি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি।

ঢাকার নদীগুলোকে দখল করা হয়েছিল, তার নাব্যতা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, নদী দূষণ হয়েছিল। আমরা ইতিমধ্যে একটা মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। পাঁচ, তিন ও দুই বছর মেয়াদী। আমরা বুড়িগঙ্গা, বালু, শীতলক্ষা ও তুরাগকে পুরাতন আবহ আমরা ফিরিয়ে আনব।

নদী তীর উচ্ছেদে সবার সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, জনসমর্থন ছাড়া কোন কাজ হয়না। মুক্তিযুদ্ধে আমরা জয়লাভ করেছিলাম, সেটা জনযুদ্ধ ছিল বলে। জনগণের আকুণ্ঠ সমর্থন ছিল বলেই আমরা দুর্গম গিরি পারি দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বাংলাদেশের প্রকৃতিকে রক্ষা করা, বাংলাদেশের নদীগুলোকে রক্ষা করা। সেখানে আপনার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। আমরা নতুন বর্ষে আপনাদের কাছে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

ইরানি নওরোয বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, পারস্য সাহিত্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ইরান খুব মেধাবী একটি দেশ। মেধাবী একটা জাতি। পারস্য সংস্কৃতি ধরে রেখে সমগ্র পৃথিবীর সঙ্গে একটি সাংস্কৃতিক আবদ্ধ তৈরি করতে চায়। তাদের এ পদক্ষেপকে বাংলাদেশ সব সময় স্বাগত জানায়। আমরা চাই, বাংলাদেশ জাতিগত ভাবে আমরা যা অর্জন করেছি- মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাধ্যমে- কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়; সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব। আমরা সেই বন্ধুত্ব ধরে রাখতে চাই।

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অতিথি অধ্যাপক কাযেম কাহদুয়ী, বিশিষ্ট নাট্য পরিচালক অভিনেতা মামুনুর রশীদ, ইরান কালচারাল সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত কাউন্সিলর মেহেদী হাসান।

Bootstrap Image Preview