সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাষকাউলিয়া কে.আর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়সহ ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার শিক্ষার্থীসহ ১৫ গ্রামবাসীর প্রতিদিন পারাপারে 'মরাখাল' নামক স্থানে একটি পাকা ব্রিজ একান্তই প্রয়োজন। এ রাস্তা দিয়ে ১৫টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক লোক চলাচল করে প্রতিদিন।
এ স্থানটিতে সেচ্ছাশ্রমে নির্মিত ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি বাঁশের সাঁকো রয়েছে। তবে তা অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। উপজেলার কোদালিয়া থেকে খাষকাউলিয়া বাজার হয়ে শাহজানি হাট পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করার জন্য এলাকাবাসীর দাবি দীর্ঘদিনের হলেও সেখানে স্থানীয় প্রসাশন বা এলাকার সংসদ সদস্যের সুনজর পড়ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এই বাঁশের সাঁকো দিয়েই খাষকাউলিয়া, চর জাজুরিয়া, মারমা, শাহজানিসহ ১৫টি গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ ও স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী প্রতিদিন যাতায়াত করে।
খাষকাউলিয়া কে.আর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুর রশিদ বাবুল জানান, এখানে একটি ব্রিজ ছিল, তা ২০১৭ সালে বর্ষায় ভেঙে গেছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এখানে একটি ব্রইজ নির্মাণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অঞ্জাত কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে।
খাষকাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহিদূর রহমান সহিদ ও থানা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক (সাবেক) মোঃ ইদ্রিস আলী জানান, খাষকাউলিয়া বাজারের পাশেই নরবরে বাঁশের সাকো দিয়ে আমাদের আসা-যাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। ব্রিজটি কর্তৃপক্ষের নজরে থাকলেও কার্যকরী ভূমিকা রাখছেন না তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা. আবু তাহির জানান, ঐ এলাকাটি পরিদর্শন করেছি। সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়েছে।