দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে তৃতীয় ইউনিটের ১৫৪ জন শ্রমিকের মধ্যে ২০ জনকে ক্লিনার পদে নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও অদৃশ্য কারণে তা হয়নি। সোমবার (৮ এপ্রিল) এ নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে আন্দলনরত শ্রমিকরা বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ ধাপের বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে।
এ সময় নিয়োগের বিষয় নিয়ে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের লোকজনদের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৯ জন গুরুতর আহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ দিকে আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে এবং দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
আহতরা হলেন, ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রালীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান (২৫), সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্টন সরকার মুন্না (২৪), যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মানিক (২৩), যুবনেতা খাজাঁ মইনুদ্দিন (৪৫), স্থানীয় কয়লা ব্যাবসায়ী সুমন (২৫), ব্যাবসায়ী মহাসীন (২৭)। অপরদিকে শ্রমিক আলতাব হোসেন, দুলু ও মোর্শেদ আহত হন।
বিক্ষোভ শেষে বক্তব্য রাখেন, বড়পুকুরিয়া শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
শ্রমিকরা তাদের বক্তবে বলেন, সেদিনের অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সেইসাথে বড়পুকুরিয়া তাপবিদুৎ কেন্দ্র কতৃপক্ষসহ প্রধানমন্ত্রীর নিকট নিয়োগের বিষয়ে শ্রমিকরা জোর দাবি জানান। অন্যথায় দাবি না মানলে, তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে তারা বলেন।
ঘটনার বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রালীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা দলীয় কোঠায় কিছু লোক নিয়োগের ব্যাপারে শ্রমিকদের সাথে সমন্বয় করতে কথা বলতে গেলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই অতর্কিতভাবে শ্রমিকরা তাদের উপর হামলা করে। এতে তারা গুরুতরভাবে আহত হয়।