Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রাজধানীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সব পুড়ে গেলেও অক্ষত রইল কোরআন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:১৯ PM
আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:১৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


কদমতলীর গিরিধারা আবাসিক এলাকার গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। গত শনিবার (৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এরপর রাত পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনায় দগ্ধ চারজনকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

দগ্ধ চারজন হলেন- ফাতেমা বেগম (৩৫) এবং তার তিন সন্তান রাফি (১১), ফারিয়া (৯) ও সাফওয়ান (৫)।

জানা গেছে, আগুন আগুন চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে। বাসার সিলিন্ডার লিকেজে আগুন ধরেছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, ফতুল্লার গিরিধারা আবাসিক এলাকার বিসমিল্লাহ টুইনটাওয়ার ছয় তলা ভবনের চারতলায় আব্দুর রহিমের স্ত্রী ফাতেমা বেগম এলপি গ্যাসের চুলায় রান্না করতে যান। এসময় ম্যাচের কাঠি জ্বালোনোর সঙ্গে সঙ্গে সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসের কারণে পুরো ঘরে আগুন ধরে যায়। ঘরে আব্দুর রহিমের সন্তানের বই খাতার পাশাপাশি পবিত্র কোরআন শরীফ রাখা ছিল। বইখাতা ও ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে গেলেও কোরআন শরীফ অক্ষত আছে। কোরআন শরীফের কোন অক্ষরও পুড়ে নি।

গুরুতর দগ্ধ ফাতেমা বলেন, ‘রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডারে লিকেজ ছিল। আমরা পাশের ঘর থেকে গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছিলাম। হঠাৎ রান্না ঘরে বিস্ফোরণ হয়। গ্যাস ছড়িয়ে পড়ায় আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আর কিছু মনে নেই।

ফাতেমার স্বামী আবদুর রহিম জানান, তিনি একটি ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন। ঘটনার সময় তিনি বাসায় ছিলেন না। তার মেয়ে ফারিয়া স্থানীয় ডিলাইট স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে এবং ছেলে রাফি পড়ে পঞ্চম শ্রেণিতে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক ডা. সাইফুর রহমান জানান, ‘দগ্ধ ৪ জনের মধ্যে ৩ জনের প্রায় ৯৫ শতাংশ এবং একজনের প্রায় ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল। রিকভার করা প্রায় অসম্ভব।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, মা ও তিন শিশুর শরীরই মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়েছে। তাদের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

Bootstrap Image Preview