মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে নেতার কটুক্তিপূর্ণ স্ট্যাটাস

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মুক্তিযোদ্ধা এম.এম ফজলুল হক'কে নিয়ে কটুক্তিপূর্ণ ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রবিউল ইসলাম নামের ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি বিরুদ্ধে।

৫ এপ্রিল (শুক্রবার) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে তার রবিউল ইসলাম নামক ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন- (ফজলুল হকের ছবিসহ) 'কালো পাটার দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে'। রবিউল ইসলাম উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের শালিখা গ্রামের আঃ হক গাজীর ছেলে এবং ৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি বলে জানা যায়।

এ ঘটনার কারণে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন তালা উপজেলার সাধারণ জনগণ। তারা বলছেন, ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে সে কিভাবে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য বা স্ট্যাটাস দিতে পারে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান মানে সমগ্র জাতিকে অপমান করা। এটি জঘন্যতম শাস্তিযোগ্য অপরাধ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এই অপরাধের বিচার না হলে জাতি কখনো ক্ষমা করবে না।

তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাদি বলেন, আমি ফেসবুক স্ট্যাটাসটি দেখিনি, তবে শুনেছি। যদি সে এ কাজ করে থাকে, তাহলে অবশ্যই সে গুরুতর অপরাধ করেছে। কারণ মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের নিয়ে এ ধরনের কটুক্তি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। খেশরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমাকে লিখিতভাবে জানালে উপজেলা ছাত্রলীগ তার (রবিউল) বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবে।

খেশরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তিমুর শেখ জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। এর সত্যতার প্রমাণ পেলে আমরা অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

তালা উপজেলার সাবেক কমান্ডার আলাউদ্দিন জোয়াদ্দার বলেন, ফেসবুক স্ট্যাটাসের বিষয়টি শুধু ফজলুল হক সাহেবকে নয়, সমগ্র মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অবমাননাকর। আজ সন্ধ্যায় আমরা ওসি সাহেবের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এম.এম ফজলুল হক এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি বিষয়টি দেখেছি ও মর্মহত হয়েছি এবং মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মী রবিউল ইসলাম ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ওটা আমার ফেসবুক আইডি না আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে কেউ ফেসবুক আইডি খুঁলে এ কাজ করে থাকতে পারে।

এ ব্যাপারে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদি রাসেল বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। অভিযোগ করা হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।