ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দক্ষিণ পৈরতলা এলাকায় হত্যা মামলার আসামি ধরতে গিয়ে অবরুদ্ধ হয়েছেন পাঁচ পুলিশ সদস্য। রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ওই পুলিশ সদস্যরা হামলার শিকার হয়েছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজনের নাম জানা গেছে। তিনি নবীনগর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুবেল ফরাজী। পরে খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে দক্ষিণ পৈরতলা এলাকার ছালেক মিয়ার বৃদ্ধা মা মারা যান। রোববার দুপুরে ছালেক মিয়ার বাড়িতে নবীনগর উপজেলার কুড়িঘর গ্রামের একটি হত্যা মামলার আসামি ধরতে আসেন এসআই রুবেল ফরাজীসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য। বাড়ির পুরুষরা মরদেহ দাফনের জন্য কবরস্থানে গেলে বাড়িতে থাকা নারীরা জানায় এখানে কোনো আসামি নেই। নারীদের কথা শুনে এসআই রুবেল ফরাজী জোরপূর্বক ঘরে প্রবেশ করে মালামাল তছনছ করেন। পাশের বাড়িতে গিয়েও একই কাজ করেন তিনি। এ সময় বাড়ির নারীরা এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে রুবেল ফরাজী ফাঁকা গুলি করে ও নারীদের ওপর লাঠি দিয়ে হামলা চালান।
এ ঘটনায় নারীরা সম্মিলিতভাবে ধাওয়া করলে পাশের একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন এসআই রুবেলসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা এসে এসআই রুবেল ফরাজীসহ অন্যদের অবরুদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।
এদিকে, পুলিশের হামলায় নারীরা আহত হওয়ায় দোষী পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবিতে পৈরতলা-গোকর্ণঘাট সড়কে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।