বিশ্ব ভালবাসা দিবসে ভালবাসার এক অনন্য নজীর স্থাপন করেছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ঐদিন তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তালাচাবি কর্মকার ইলিয়াস আলীকে ভালবাসার নিদর্শন স্বরুপ একটি ঘর করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়। ওই উদ্যেগ নিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করে। উদ্যোগটি সর্বমহলে সেসময় প্রশংসিতও হয়েছিল। ২৫ হাজার টাকা সমমূল্যের ৩ বান্ডিল ঢেউটিন এবং নগদ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে ইলিয়াস আলীর সে স্বপ্নে বাস্তবতার আচর লেগেছে।
হতদরিদ্র ইলিয়াস মিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ তালাচাবির মেকানিক হিসেবে কাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হতদরিদ্র ইলিয়াস মোল্লার বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল এলাকায়। জীবিকার সন্ধানে প্রায় ১৫ বছর আগে তিনি বাড়িঘর ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি জমান। প্রথমদিকে নিয়মিত শ্রমিকের কাজ করলেও পরে স্থায়ীভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে তালাচাবি মেরামতের কাজ শুরু করেন।
কিন্তু ভ্রাম্যমাণ এ পেশায় কোন মতে দিন গোঁজার ছাড়া ছেলে মেয়েসহ বেঁচে থাকা যায় না। শারীরিক নানা সমস্যার কারণে অন্য কোন পেশায় যোগদান করাও তার পক্ষে সম্ভব না। এমতাবস্থায় তিন সন্তান বাবা মা সমেত একটি ভাঙা ঘরে বসবাস করে আসছেন তিনি।
তার এই দুর্দশার কথা শুনেই ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী মর্মাহত হন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ইলিয়াস সরদারকে একটি বাড়ি করে দেয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ এবং যাবতীয় সহযোগিতা প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি শেখ স্বাধীন মোঃ শাহেদকে। শাহেদ গতকাল গোলাম রাব্বানীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ইলিয়াস আলীকে ২৫ হাজার টাকার মূল্যমানের টিন ও নগদ অর্থ প্রদান করেন।
জানতে চাইলে ইলিয়াস মিয়া জানান রাব্বানী মামা, 'শাহেদ মামাসহ আমার একটা ঘর কইরে দেবার সাথে যারা আছে, আমি সবার জন্য দোয়া করি। আল্লাহ তাদের ভালাই করুক।'
জানতে চাইলে শেখ স্বাধীন মোঃ শাহেদ জানান, আমরা একটি ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করি। ফলে আমাদের পক্ষে একবারে যাবতীয় খরচ বহন করা হয়তো সম্ভব না। গোলাম রাব্বানী ভাইয়ের নির্দেশনায় আমরা কাজটা কয়েক কিস্তিতে সমাধান করতে পারব ইনশাআল্লাহ।