সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার চর নরিনাসহ ১৬টি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষের প্রতিদিনের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হুড়াসাগর নদীর উপর সেচ্ছা শ্রমে নির্মিত ২৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকো।
চর নরিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ ও এই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ আব্দুস সেলিম জানান, চর নরিনা বাজার ও চর নরিনা পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এ বাঁশের সাঁকোটি ৩ বছর আগে নির্মাণ করা হয়। চর নরিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসীর উদ্যোগ নিয়ে এলাকাবাসীর কাছ থেকে চাঁদার টাকা তুলে এলাকাবাসীর সেচ্ছা শ্রমের বিনিময়ে প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সাঁকোটি তৈরী করা হয়।
সেই থেকে প্রতি বছর একই ভাবে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এ বাঁশের সাঁকোটির সংস্কার কাজও করা হয়। তারপরেও সাঁকোটির নির্মাণ দীর্ঘ দিনের হওয়ায় এটি এখন নরবড়ে হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই বর্ষা মৌসুমে এই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াতের সময় অনেক স্কুলগামী শিক্ষার্থী পানিতে পড়ে যায়।
এ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা, সাইদুল ইসলাম, কেয়া খাতুন, সুজাবত আলী মহুরী, সেলিম হোসেন, স্বপন মেম্বর, রফিকুল ইসলাম, ঠান্ডু মিয়া, আবু তাহের ফকির, আবুল কালাম আজাদ ও এনামূল হক জমিন বলেন- শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের চর নরিনা গ্রামটি অত্যন্ত দুর্গম এলাকা।
এ গ্রামে যাতায়াতের ভাল কোন রাস্তা নেই। এই বাঁশের সাঁকোই তাদের একমাত্র যাতায়াতের ভরসা। এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে চর নরিনাসহ ১৬টি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ ও ১০টি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ৩ হাজার শিক্ষার্থী প্রতিদিন যাতায়াত করে।
তারা আরো বলেন, এখানে একটি কংক্রিট ব্রিজ অতি প্রয়োজন। তাই তারা অবিলম্বে এখানে একটি কংক্রিট ব্রিজ নির্মাণের জোর দাবি জানান।
এ ব্যাপারে নরিনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক মন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে এখানে একটি কংক্রিট ব্রিজ নির্মাণের জন্য একাধিকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কাজ হয়নি। তাই অচিরেই লিখিতভাবে এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য আবেদন করা হবে।
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমূল হুসেইন খান বলেন, এলাকাবাসী এ বিষয়ে লিখিতভাবে আবেদন করলে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।