Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাবার দায়ের করা মামলায় ছেলে গ্রেফতার

রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৫ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:৫৭ PM
আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:৫৭ PM

bdmorning Image Preview


বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আত্মহত্যা চেষ্টার অভিযোগে বাবার দায়ের করা মামলায় ছেলে আশরাফুল ইসলাম নয়ন (২২) নামে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালের দিকে তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে উপজেলা মথুরাপুর ইউনিয়নের ছাতিয়ানি গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের আমিনুল ইসলাম বাবলুর ছেলে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম নয়ন (২২) ২ বছর আগে প্রেম করে মনি খাতুন নামে ভিন্ন ধর্মের এক মেয়েকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তাদের সংসার ভালোই চলছিলো।

কিন্তু সম্প্রতি আশরাফুল অন্য একটি নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে এবং ঐ নারীকে বিয়ের জন্যে ব্যাকুল হয়ে ওঠে। বাবা-মা এ বিয়েতে বাঁধা দিলে ৩ এপ্রিল সকালের দিকে বসতঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে আশরাফুল।

এসময় গোঙ্গানীর শব্দ শুনে তার স্ত্রী মনি খাতুনের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘরের দরজা ভেঙ্গে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। 

সুস্থ হয়ে বাড়িতে এসে সে আবারো বিয়ের দাবিতে দ্বিতীয় দফায় আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় তার বাবা আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ধুনট থানায় ছেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।

পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আশরাফুল ইসলামকে রাতেই গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালের আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

থানাহাজতে আটককৃত আশরাফুল ইসলাম জানায়, প্রথম দফায় বাবা মনের বিরুদ্ধে তাকে জোর করে বিয়ে দিয়েছে। সে তার বান্ধবীকে ভালোবাসে। বান্ধবীকে বিয়ে করতে না দেয়ায় সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। 

আশরাফুল ইসলামের বাবা আমিনুল ইসলাম জানায়, প্রথমবারে সে নিজের ইচ্ছায় প্রেম করে বিয়ে করেছে। বর্তমানে সে আবারো অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করার চেষ্টা করছে। এতে বাঁধা দেয়ায় সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।  

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, আত্মহত্যা চেষ্টার অভিযোগে বাবার দায়ের করার মামলায় ছেলেকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Bootstrap Image Preview