দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে শিং কেটে গরু চুরি করার সময় চোরের মূল হোতাকে হাতেনাতে আটক করে গ্রামবাসী। পরে তারা বিচার চেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে ওই চোরকে হস্তান্তর করে। কিন্তু চেয়ারম্যান বিচার না করে চোরকে থানায় দেওয়ার কথা বলে টাকার বিনিময়ে রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছন বলে অভিযোগ করছেন গ্রামবাসী।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে শিং কেটে গরু চুরি করার সময় প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় পেশাদার চোর (লিডার) অমেদ আলি (৪২) কে হাতেনাতে আটক করে গ্রামবাসী।
জানা গেছে, উপজেলার ৬নং ভাদুরিয়া ইউনিয়নের আদিবাসী গ্রাম ঘাসুরিয়ার বাদল তির্গার বাড়িতে। এসময় অন্য চোরেরা পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ভাদুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসমান জামিলকে মুঠোফোনে আদিবাসী গ্রামবাসী খবর দিলে সকালে চৌকিদার পাঠিয়ে চোরকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। তবে স্থানীয় প্রভাবশালী ইউপি চেয়ারম্যান আসমান জামিল সকলকে অবাক করে দিয়ে চোরকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করার কথা বলে টাকার বিনিময়ে রাস্তায় ছেড়ে দেয়।
আটককৃত চোরের লিডার অমেদ আলি হাকিমপুর উপজেলার কাঁকড়াবালি গ্রামের বনিজ মিয়ার পুত্র।
এলাকায় এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যেখানে প্রতিনিয়ত চূরি ডাকাতি সংগঠিত হচ্ছে সেখানে কি ভাবে একজন জনপ্রতিনিধি আদিবাসী জনতা কর্তৃক আটক চোরকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয় এমন প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আতাউর রহমান জানান, গ্রামবাসী ওই চোরকে ধরে আমার কাছে দিলে আমি চেয়ারম্যানের কাছে দেয়। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে টাকার বিনিময়ে চোরকে ছেড়ে দিয়েছেন চেয়াম্যান।
তিনি আরো বলেন, যেখানে চেয়ারম্যান চোরেকে আতাতের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে তার স্বজনদের হাতে তুলে দেয় সেখানে আমাদের কি করার থাকে।
তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসমান জামিল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চোরকে নবাবগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়ার পরে সেখান থেকে ওই চোরকে তার স্ত্রীর মাধ্যমে জয়পুরহাটের একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকি জানান, চোরকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে জানানো হয়েছে। এলাকাবাসী চেয়ারম্যানের দ্বারা আদিবাসী জনতা কর্তৃক ধৃত চোরকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে।