শিবগঞ্জে বিধবার বসত বাড়ী ভাংচুর ও শরীরে মরিচের গুড়া নিক্ষেপ

বগুড়ার শিবগঞ্জের মহাস্থানে এক বিধবার বসত বাড়ির জমি দখলের চেষ্টা চালায় প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। এসময় সেখানে ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। 

গত বুধবার শিবগঞ্জ থানায় একটি দায়ের করেছেন ভূক্তভুগী ঐ বিধবা নারী। গত রবিবার  বিকাল ৪টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের মহাস্থান দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মহাস্থানের দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারী বেশ কয়েক বছর পূর্বে মারা গেছেন। তার সংসারে এক ছেলে ও দুই মেয়ে ছিল। প্রকৃতির নিয়মে অকালে মারা যান তার সন্তানেরা। বর্তমান তাদের সংসারে উপার্জনক্ষম কোন ব্যক্তি নেই। এতিম এক মেয়েকে নিয়ে বিধবা মিনা বেওয়া তার বসতভিটার সামান্য জমিতে কোনো রকম সংসার চালিয়ে জীবনযাপন করে যাচ্ছেন। 

হঠাৎ গত রবিবার একই গ্রামের মৃত ইসমাইলের পুত্র এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি ফুলমিয়ার নেতৃত্বে তার ভাই টুলু মিয়াসহ বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঐ জমির মালিকানা দাবি করে বিধবার বসতভিটায় ঢুকে ইটের প্রাচীর ও বাড়ীর বারান্দা সহ বেশকিছু জিনিসপত্র ভাংচুর চালায়। এসময় অসহায় বিধবা মিনা বেওয়া বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে মারপিট করে। 

এসময় মাকে বাঁচাতে এতিম মেয়ে লাকমী এগিয়ে এলে তাহাকেও বেধর মারপিট করে। শুধু মারপিট করেই শান্ত  হয়নি সন্ত্রাসীরা মা ও মেয়েকে মরিচের গুড়া পানির সাথে মিশিয়ে শরীরে নিক্ষেপ করেছে। ঐ গ্রামের বাসিন্দা মর্জিনাসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশকিছু ব্যক্তি ঘটনার সত্যতার নিশ্চিত করেছে। 

এ বিষয়ে ঐ এলাকার ইউপি মেম্বার তোফাজ্জল হোসেন তোফা বলেন, বিধবাকে মারপিট ও বাড়িঘরে ভাংচুরের কথা  শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে এর আগেও গ্রাম্য সালিশ হয়েছিলো। 

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, বিধবা মিনা বেগম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপের্ক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।