ফায়ার সার্ভিসের জন্য কেনা হবে বিশেষ ধরনের হেলিকপ্টার। যা দিয়ে উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণ দুটোই একসঙ্গে করা যাবে। এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত সভায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিসের জন্য বিশেষ ধরনের হেলিকপ্টার ক্রয় করা হবে, যা দিয়ে উদ্ধার এবং আগুন নিয়ন্ত্রণ দুটোই হবে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসকে আরও আধুনিকায়নের কাজ অব্যাহত রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসে কিছু বৈষম্য রয়েছে, এটাও ঠিক করার কাজ অব্যাহত রয়েছে। তাদের এখন ঝুঁকি ভাতাও দেয়া হচ্ছে।’
বনানীর এফআর টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করায় আগুন আরও ছড়িয়ে যায় বলে জানা গেছে- এ বিষয়ে মন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেদিনের অগ্নিকাণ্ডটা একেবারে পিক টাইমে ঘটেছিল। ফায়ার সার্ভিস ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে। তখন ছাদের ওপর অনেক লোক উঠে গিয়েছিল। তাই তাদের উদ্ধারের জন্য বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছিল। সব শক্তি ব্যবহার করে লোকজনকে উদ্ধার করতে চেয়েছিলাম। হেলিকপ্টারে কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য পানিও ঢেলেছিল।’
মন্ত্রী বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারকাজে ফায়ার সার্ভিস খুব তৎপর ছিল। সময়মতো গাড়ি সেখানে গিয়েছিল। কিন্তু উৎসুক জনতার জন্য উদ্ধারকাজ শুরু করতে ৫ থেকে ১০ মিনিট সময় লেগেছিল।
এ ধরনের ঘটনায় উৎসুক জনতা যেন ভিড় না জমায় এজন্য অনুরোধ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ২৬ জন নিহত হন। আহত হন ৭৩ জন। ভবনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র কিংবা রান্নাঘরের ওভেন থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়।