বিএনপি নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য মাঝে মধ্যে মিডিয়ার সামনে যে ডায়লগ দিচ্ছে, তাতে কোনো লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
আজ বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা আজিমপুর কমিউনিটি সেন্টার মাঠে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কোন ধ্বংসাত্মক রাজনীতির আর চায় না। জনগণ শান্তি চায়, উন্নয়ন চায়, অগ্রগতি চায়। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছে সেখানে কেউ বাধা দিতে আসলে সেই বাধা উড়িয়ে দিবে দেশের জনগণ।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদের দেশের মহানায়ক ছিলেন না, তিনি পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রের নায়কদের কাছে মহানায়ক ছিলেন।
হানিফ বলেন, ৭৫ এর পর থেকে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা বারবার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য। আজকে ১০ বছর হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আর এই দশ বছরে আমাদের দেশ ব্যাপক পরিবর্তন এবং উন্নয়ন হয়েছে।
যারা ক্ষমতায় থেকে দেশকে উন্নয়ন করতে পারে নাই তারা এখনো ক্ষমতার বাইরে থেকেও বারবার ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে দেশে যারা বলতো আহা কি সুন্দর, কিন্তু দেখতে সুন্দর হলে কি হবে কিন্তু ভিতরে যে কালো তা আজকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রমাণিত। ক্ষমতায় থেকে দেশকে কিছু দিতে পারে নাই। তার ছেলেকে দিয়ে ধ্বংস করেছে এমনকি দুর্নীতি করতে করতে এতিমদের টাকা পর্যন্ত আত্মসাৎ করেছে। দেখেন এখন বেগম খালেদা জিয়ার কি অবস্থা হয়েছে। তিনি কি কারণে কারাগারে আছেন?
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আরও বলেন, ২০০৬ সালে বিএনপি জামাত যখন ক্ষমতায় ছিল তখন হাওয়া ভবন বানিয়ে দুর্নীতি করে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানিয়েছে। সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে যে বাংলাদেশকে পৃথিবীর সকল দেশ বলতো বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আজ সেই বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছেছে।
বিএনপিরে উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা গতকাল দেখলাম বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য মিলাদ মাহফিল করেছে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তি কে দিবে? আমরা বারবার বলেছি তারপরও কেন নাটক করেন তারা?
তিনি বলেন, এতিমের টাকা আত্মসাতের দায়ে যে কারাগারে আছে তাকে মুক্ত করার দায় বাংলাদেশের জনগণ কখনো নিবে না। যে দুর্নীতি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে বিদেশে পলাতক তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা যায় দেশের জনগণ কখনো নিবে না।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দিবে আদালত। একমাত্র দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মুক্তি দিতে পারে আদালত এছাড়া কোন সুযোগ নেই। আপনারা আইনি প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে আন্দোলন করেন কেন। আর আন্দোলনের হুমকি দিয়ে লাভ আছে কি? আপনাদের আন্দোলনে জনগণের সমর্থন নেই তার প্রমাণ বহুবার পেয়েছেন। জনগণ সমর্থন দেয়নি বলে পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষকে মেরেছেন আজকে এই সমস্ত পাপের কারণে আপনাদের নেতারা জেলে এবং পলাতক।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের লক্ষ্যটা কি? আপনারা রাজনীতি করেন দেশের জন্য ও জনগণের জন্য নয় শুদু মাত্র নিজেদের জন্য।আপনারা শুধু ধ্বংস ছাড়া আর কোন কাজ আপনারা দেশের জনগণকে দিতে পারেন নাই। আমরা সেই কারণে বলতে চাই আপনাদের রাজনীতি শুধু ব্যক্তি কেন্দ্রিক।
বিএনপির আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেন আন্দোলন করে দেশকে আরো নিচের দিকে ধাবিত করতে চাচ্ছেন। দেশের মানুষ এখন নতুন করে স্বপ্ন দেখছে আস্থার জায়গা খুঁজে পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। তাই সেই জায়গাকে নষ্ট করবেন না আপনাদের কি হিংসা হচ্ছে উন্নয়ন দেখে। আপনারা দেশের কথা ভাবেন না নিজের কথা ভাবেন, তাই অনুরোধ থাকবে নিজেদের কথা বাদ দিয়ে জনগণের কথা ভাবেন ।দেশের উন্নয়নের জন্য সরকারকে সহযোগিতা করেন উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবেন না তাহলে জনগণ আপনাদের কখনো ক্ষমা করবে না।