সুনামগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে শিশু জুবেলকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ গুমের দায়ে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মো. রেজাউল করিম এ রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন সেলিম আহমদ। সে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের পীরপুর গ্রামের মরতাব আলীর ছেলে। রায় ঘোষণাকালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক ছিলেন।
সিলেট দ্রত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি কিশোর কুমার কা জানান, ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর ছাতকের পীরপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রমজান আলীর ১১ বছর বয়সী ছেলে জুবেল আহমদ মোবাইল ফোন কেনার জন্য একই গ্রামের সেলিম মিয়াকে দুই হাজার টাকা দেয়। টাকা নিয়ে মোবাইল ফোন না দিয়ে জুবেলকে তাড়িয়ে দেয় সেলিম। পরে জুবেলের মা সেলিমকে বকাঝকা করলে সে মোবাইল ফোন সেট কিনে দেয়।
ওই ঘটনার পর দু’দিন পর ২৬ নভেম্বর পীরপুর বাজারে সেলিমের দোকানে যায় জুবেল। এরপর থেকে জুবেল নিখোঁজ হয়। ২৮ নভেম্বর গ্রামের স্থানীয় একটি পুকুর থেকে জুবেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জুবেলের ভাই রুহেল আহমদ বাদি হয়ে ছাতক থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সেলিম মিয়া ছাড়াও একই এলাকার আবুল কালাম ও এখলাছুর রহমানকেও আসামি করা হয়।
২০১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ওই তিনজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করে। পরে সুনামগঞ্জ আদালত থেকে চাঞ্চল্যকর মামলাটি সিলেট বিভাগীয় দ্রত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়। ২০১৫ সালের ২৮ মে আদালত চার্জগঠন করে বিচার কাজ শুরু করেন। মামলার ২২ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ে আবুল কালাম ও এখলাছুর রহমানকে বেকসুর খালাস এবং সেলিমকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালতের বিচারক।