Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইয়াবা ব্যবসায় বিদেশি অর্থায়ন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৪৫ PM
আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৪৫ PM

bdmorning Image Preview


ইয়াবা ব্যবসায় এবার বিদেশের অর্থায়নের তথ্য পেয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। একটি চক্র বিদেশ থেকে ইয়াবা চোরাচালানে বিপুল পরিমাণ অর্থের যোগান দিচ্ছে। এরই মধ্যে এ চক্রের মূলহোতাকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলাচ্ছে র‌্যাব।

এদিকে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় ইয়াবার চালান আনতে ক্রমাগত রুট পরিবর্তন করছে চোরাকারবারীরা। মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবার চালান গভীর সমুদ্রে হস্তান্তর করে মাছধরার ট্রলারে করে উপকূলীয় অঞ্চলে আনা হয়। এরপর সুবিধামতো নৌপথে নিয়ে আসা হচ্ছে ঢাকায়।

মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) অভিযান চালিয়ে প্রায় ৮ লাখ পিস ইয়াবাসহ তিন চোরাকারবারীকে আটক করে র‍্যাব-১ এর সদস্যরা। উদ্ধারকরা ইয়াবার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে বরগুনা থেকে আসা সপ্তবর্ণা নামের একটি লঞ্চ থেকে ৫ লাখ ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ তুহিন হোসেন (২৫) ও সবুজকে (২৬) আটক করা হয়।

এর সূত্রধরে দুপুরে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একই চক্রের শাহজাহানকে (৩৫) ৩ লাখ ৪৯ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়।

বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।

তিনি বলেন, এ চক্রে আট থেকে ১০ জনের একটি গ্রুপ ইয়াবা চালানে জড়িত, যারা প্রায় দেড় বছর ধরে এ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। র‍্যাবসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তারা নিয়মিত ইয়াবার চালান আনতে রুট পরিবর্তন করে আসছিল। গভীর সমুদ্রে মিয়ানমার-বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় ইয়াবাগুলো হস্তান্ত করে মিয়ানমারের নাগরিকরা। এরপর যন্ত্রচালিত মাছধরার ট্রলারে করে সেগুলো নিয়ে আসা হতো পাথরঘাটা-পটুয়াখালী-পিরোজপুরসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায়।

সেখান থেকে চালানটি একাধিক ভাগে ভাগ করে নৌপথে কিংবা সড়কপথে নিয়ে আসা হয় ঢাকায়। একাধিক ভাগে চালান নিয়ে আসার কারণ, একভাগ ধরা পড়লেও অন্যটি যেন সুরক্ষিত থাকে।

ইয়াবার এ বড় চালানটি ঢাকায় নিয়ে আসার জন্য দু’টি ট্রলার ভাড়াও করেছিল চক্রটি। ভূট্টা কিংবা তরমুজের আড়ালে চালানটি বহন করার কথা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় একভাগ লঞ্চে করে এবং আরেকভাগ সড়কপথে বাসে করে আনা হচ্ছিল।

র‍্যাবের ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তা বলেন, চালানটি ঢাকার একটি অভিজাত এলাকার একজনের ভাড়া বাসায় যাওয়ার কথা ছিল। সেখান থেকে ইয়াবাগুলো বিভিন্ন স্থানে বন্টন করে দেওয়া হতো। বাসা ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা অভিজাত এলাকাগুলোকে বাছাই করতো এবং প্রতি চালানের পর তারা বাসা পরিবর্তন করতো।

তবে তদন্তের স্বার্থে সেই এলাকা এবং বাসার মালিকের পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি।

ইয়াবার চালানের একটি বড় অর্থ বিদেশ থেকে আসছে জানিয়ে মুফতি মাহমুদ খান বলেন, এ চক্রে ইয়াবা ব্যবসায় বিদেশ থেকে অর্থায়নের তথ্য আমরা পেয়েছি। চক্রের মূলহোতাকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

Bootstrap Image Preview