বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড়-হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে বাড়িঘরসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
রবিবার (৩১ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতের দিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেল থেকে আকাশের ঘন মেঘের দেখা মেলে। সন্ধ্যার দিকে প্রথম দফায় দমকা বাতাস ও শিলাবৃষ্টিতে বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বিশেষ করে টিনের তৈরী ঘরের চালার ওপর বড় আকারের শিলা পড়ে অসখ্য ফুটো হয়েছে টিন। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়েছে।
এ দিকে মধ্যরাতের দিকে দ্বিতীয় দফায় কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে বেশ কিছু বাড়িঘর ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামে এক হাজার পরিবারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ৫০ হেক্টর জমির ধান, ৫ হেক্টর জমির ভুট্টা, ও ২ হেক্টর জমির মরিচের ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, ঝড় হাওয়ার চেয়ে শিলাবৃষ্টিতে বেশি ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ৩০ মিনিট সময় ধরে কমপক্ষে ৪০০ গ্রাম ওজনের শিলা পড়েছে। এসব বড় আকারের শিলার আঘাতে চালের টিন ঝাঝরা হয়ে গেছে। ঘরগুলো মেরামত না করলে বসবাস করা সম্ভব না। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট সহযোগীতা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।