রাজধানীর গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচাবাজারে আগুনে পুড়েছে দুই শতাধিক দোকান। এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ভেতরে গিয়ে দেখা যায় দোকানের মালামাল অধিকাংশই পুড়ে গেছে। যা কিছু অবশিষ্ট ছিল সেগুলো উদ্ধার করেছেন কেউ কেউ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, এ্যালমোনিয়াম ও তৈলেরপাত্রসহ কিছু জিনিস-পত্র পোড়া অবস্থায় উদ্ধার করেছেন কেউ কেউ। সেগুলো কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন তারা। এগুলো কিনতে বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ সেখানে ভিড় করছেন।
কাঁচাবাজারে মাংস ও মাছের দোকানের পাশাপাশি মুদি ও সুগন্ধির দোকান ছিল। পাশাপাশি প্লাস্টিকের খেলনার দোকানও ছিল সেখানে। তার একটিকেও অক্ষত দেখা যায়নি।
শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল পৌনে ৬টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট। সঙ্গে ছিল সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) মেজর শাকিল নেওয়াজ বলেন, ডিএনসিসি’র কাঁচাবাজার ও সুপার মার্কেটের আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলতে।
কয়েকজন দোকানি জানান, রাতে দোকানগুলোতে কেউ থাকে না, বাজারের কলাপসিবল গেটে তালা মেরে পাহারাদাররাও বাইরেই থাকেন।
ডিএনসিসি মার্কেটের এক দোকানদার বলেন, আমরা ব্যবসা করি, ভাড়া দেই। সিটি করপোরেশন যদি আগুন লাগলে কি দরকার, সেটার ব্যবস্থা আগেই করতো তাহলে আজ আমরা নিঃস্ব হতাম না।
অপর এক দোকানদার জানান, আমার সব পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। কীভাবে সংসার চালাবো।
ক্রোকারিজ দোকান মালিক জহিরুল ইসলাম বলেন, সালের আগুনে ৫টা দোকান পুড়ে গিয়েছিল। এবার ৭টা দোকান পুড়ে গেছে। আমি নিঃশ্ব হয়ে গেছি।
অপর এক ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন জানান, তার চারটি দোকান পুড়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছিল গুলশান ১ নম্বর ডিএনসিসি মার্কেট। তখন দোতলা মূল বিপণি বিতানের পাশের কাঁচাবাজারও সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছিল। তারপর ওই বাজারটি নতুন করে গড়ে তোলার দুই বছরের মধ্যে আবার তা পুড়ে গেল।