২ বছর আগে ২০১৭ সালে গুলশান-১ এর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মার্কেটে লাগা আগুন নিঃস্ব করেছিল নোয়াখালীর ফকির আহমেদকে। ওই সময়ে দোকানের ৬০ লাখ টাকার জিনিস পুড়ে ছাই হয়েছিল তার। এরপর ধার দেনা করে চালু করেছিলেন নোয়াখালী বুনিয়াদি স্টোর নামের মসলার দোকানটি।
কিন্ত আজ শনিবার ভোরে লাগা আগুনে আবারো পুড়ে ছারখার হয়েছে তার সেই দোকান। ছাই ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই দোকানের। চোখ মুছতে মুছতে বার বার সেই ছাইয়ের মধ্যেই কিছু খুঁজে বেড়াচ্ছেলেন তিনি। বাবার এমন অবস্থা দেখে পাশে দাড়িয়ে কান্না করছেন তার ছেলেমেয়েরাও৷
ফকির আহমেদ বলেন, ‘আপনারা তো জানেন ভাই, গতবার আমার দোকানসহ গোডাউন সবই পুড়ে শেষ হয়েছিল। এবারও আর কিছুই রইলো না। গতবারের আগুনে সব মিলে আমার ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছিল। অনেক ধার দেনা করে আবারও চালু করেছিলাম দোকানটি। এবারের আগুনেও সব গেল। ২০ লাখ টাকার জিনিস ছিল, নিজেই দেখুন আর কিছু নেই।’
ফকির আহমেদ আরও বলেন, ‘আমার ২ ছেলে, এক মেয়ে সবাই এই ব্যবসার দিকে তাকিয়ে ছিল। সংসার চলবে কেমনে আল্লাহ জানে৷’
গুলশান-১ এর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মার্কেটে লাগা আগুনে পুড়ে গেছে দুই শতাধিক দোকাল এসব দোকানের মধ্যে আছে বুনিয়াদি, কাঁচামাল, চালের দোকান সহ অনেকে নিত্যপণ্যের দোকান। আগুনে সবই পুড়ে ছাই বানিয়ে দিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) মেজর শাকিল নেওয়াজ বলেন, ‘গুলশান-১ এ ডিএনসিসি’র কাঁচাবাজার ও সুপার মার্কেটের আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলতে।’
এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছিল গুলশান ১ নম্বর ডিএনসিসি মার্কেট। তখন দোতলা মূল বিপণি বিতানের পাশের কাঁচাবাজারও সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছিল। তারপর ওই বাজারটি নতুন করে গড়ে তোলার দুই বছরের মধ্যে আবার তা পুড়ে গেল।