Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ বুধবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গুলশানে যান চলাচল স্বাভাবিক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০১৯, ০১:১৬ PM
আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯, ০১:৪৩ PM

bdmorning Image Preview


রাজধানীর গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেটের আগুন নেভানোর পর ঐ এলাকায় যান চলাচল শুরু হয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে যানবাহন চলাচলের জন্য রাস্তা থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে নেয়া হয়।

ডিএনসিসি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের পরপরই গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বরের চারদিকের সড়কে ব্যারিকেড বসিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। ফলে হাতিরঝিল ও পুলিশ প্লাজা, গুদারাঘাট, মহাখালী টিবি গেট ও গুলশান-২ নম্বর থেকে কোনো গাড়ি ঢুকতে পারছিল না গুলশান-১-এ।

সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় গুলশান-১ যেতে অফিসগামী ও পথচারীদের পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়। তবে মাল সরানোর কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যান, অ্যাম্বুল্যান্স ও ফায়ার সার্ভিসসহ জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চলাচল করতে দেয়া হচ্ছিল।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে আগুন লাগার খরব পেয়ে ৫টা ৫৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করের ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। প্রথমে ৭টি ইউনিট কাজ শুরু করলেও পর্যায়ক্রমে ২২টি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বরের চারদিকের সড়কে পুলিশের ব্যারিকেড ছিল। যে কারণে এলাকাটিতে সাধারণ যানবাহন চলাচল করতে পারছি না। কিন্তু সাড়ে ১১টার দিকে ব্যারিকেড সরিয়ে নেয়া হলে অঞ্চলটিতে আবার যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মেয়র আতিকুল ইসলাম আতিক বলেন, ২০১৭ সালেও একবার এই মার্কেটে আগুন লেগেছিল। এরপর তিন চারবার নোটিস দেওয়া হয় মার্কেট কর্তৃপক্ষকে। তবে এখানে আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই মার্কেট কর্তৃপক্ষের। 

 উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি একই মার্কেটে আগুন লেগেছিল। সেই সময় ১৬ ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ঐ সময় মার্কেটের নিচতলা ও দোতলার মোট ৬০৫টি দোকান পুড়ে গিয়েছিল।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বনানীর ২২তলা এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও ৭১ জন আহত হয়েছেন। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

Bootstrap Image Preview