ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেছেন, ২০১৭ সালে ডিএনসিসি মার্কেটে আগুন লাগার পর কর্তৃপক্ষকে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখার জন্য তিন/চারবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু নোটিশের জবাবে মার্কেট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে ডিএসসিসি মার্কেটের ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সংবাদকর্মীদের এসব তথ্য বলেন এ কে এম শাকিল নেওয়াজ।
শাকিল নেওয়াজ বলেন, গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটে আগুন লাগার (২০১৭ সালের জানুয়ারি) পর মার্কেটের অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণব্যবস্থা সরেজমিনে দেখা হয়। তারপর সে অনুযায়ী মার্কেটের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিন/চারবার নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু নোটিশের জবাবে মার্কেট কর্তৃপক্ষ কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি।
এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মেয়র আতিকুল ইসলাম আতিক বলেন, ২০১৭ সালেও একবার এই মার্কেটে আগুন লেগেছিল। এরপর তিন চারবার নোটিস দেওয়া হয় মার্কেট কর্তৃপক্ষকে। তবে এখানে আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই মার্কেট কর্তৃপক্ষের।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে আগুন লাগার খরব পেয়ে ৫টা ৫৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করের ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। প্রথমে ৭টি ইউনিট কাজ শুরু করলেও পর্যায়ক্রমে ২০টি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচা ও সুপার মার্কেটে মূল আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে চারিদিকে অতিরিক্ত ধোয়া ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচতে আশেপাশের দোকানিরা তাদের মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি একই মার্কেটে আগুন লেগেছিল। সেই সময় ১৬ ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ঐ সময় মার্কেটের নিচতলা ও দোতলার মোট ৬০৫টি দোকান পুড়ে গিয়েছিল।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বনানীর ২২তলা এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও ৭১ জন আহত হয়েছেন। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।