২০১৭ সালের ৩ই জানুয়ারিতে এখানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল। সেসময় মার্কেটটির বহু দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। এরপর অস্থায়ীভাবে দোকান তৈরি করে মার্কেটটি চালু করা হয়।
জনা গেছে, ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারী অভিজাত গুলশান এলাকায় সিটি কর্পোরেশন মার্কেটে সগুনের সুত্র পাত হয়। পরে এ আগুন ছরিয়ে পরে পাশের গুলশান শপিং সেন্টার নামে ছয়তলা মার্কেটের নিচতলার দুটি দোকানে। এর পর ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা নিজেদের দোকান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মালপত্র ট্রাকে করে সরিয়ে নিয়ে যান।
সিটি কর্পোরেশনের এ মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা সেটা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল সে সময়।
মার্কেটটির ব্যবসায়ীদের অনেকে অভিযোগ করেছিলেন,বহুতল ট্রেড সেন্টার নির্মাণের কথা বলে এই মার্কেট ভেঙে ফেলার একটা চেষ্টা ছিল, তার মধ্যেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।
তবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এই অগ্নিকাণ্ডকে প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনা বলেছিলেন। ২ জানুয়ারী মঙ্গলবার দিবাগত রাত দু'টায় আগুন লাগার ১৫ ঘণ্টারও বেশি সময় পর দমকল বাহিনী তা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এই আগুনে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকার মালামাল পুড়ে যায়। তবে কোনো প্রাণহানি হয়নি। আগুন লাগার পর মার্কেটে ভবনের একটা অংশ ধসে পড়ে।
সেদিন সেখানে গিয়ে দেখা গিয়েছিল, ভবনের অন্য অংশের ব্যবসায়ীরা যে যার দোকান থেকে মালামাল বের করে এনে রাস্তার ওপর রাখছেন। তারা চেষ্টা করছিলেন আগুনের হাত থেকে অন্তত কিছু মালামাল রক্ষা করতে।
মার্কেটে একদিকে কাঁচা বাজার আর অন্যদিকে কাপড়, কসমেটিকস এবং গ্যাস সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন জিনিস পাওয়া যেতো।
উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেটের পাশে থাকা কাচাঁবাজারে আগুন লাগার ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের সাথে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর একটি ইউনিট।
আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট। শনিবার (৩০ই মার্চ) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে আগুনের সুত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে ফায়ার সার্ভিস, বিনান, সেনা ও নৌ বাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার আতাউর রহমান জানান, শনিবার ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে আগুন লেগেছে। আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
আগুন লাগার ঘটনায় এখন প্রর্যন্ত হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
প্রর্তক্ষ্যদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, বাজাঁরের মধ্যে একটি খাবারের হোটেল রয়েছে। সেই হোটেল থেকেও আগুন লেগে থাকতে পারে বলে তাদের ধারনা। আগুনে কাঁচাবাজরের বেশিরভাগই দোকানই পুরে গেছে।
তবে ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, সুগন্ধীব দোকাল থেকে আহুনের সুত্রপাত হয়েছে।