Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ শনিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

 ভয়াবহ আগুনের পরও ৫ লাখ টাকাসহ চেকবই-পাসপোর্ট ফিরে পেলেন শরাফাত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০১৯, ০৮:৫১ PM
আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯, ০৮:৫৫ PM

bdmorning Image Preview


রাজধানীর বনানীর ফারুক টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর আজ সন্ধ্যায় পুলিশের সঙ্গে ভবনে প্রবেশ করেন ডার্ড গ্রুপের নিবাহী কর্মকর্তা শরাফাতসহ অনন্য কর্মকর্তারা। এই সময় তিনি বলেন, অফিসে থাকা ৫ লাখ টাকা, পাসপোর্ট, চেকবই ফিরে পেয়েছি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় ভবনটি পরিদর্শন শেষে তিনি গণমাধ্যমের কাছে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভবনের ১২, ১৩, ১৬ ও ১৯ তলায় তাদের অফিস রয়েছে।

এর আগে প্রতিটি ফ্লোরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে ভবনটি পরিদর্শনে প্রবেশ করেন পুলিশ সদস্যরা।

ডার্ড গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরাফাত হোসেন বলেন, আমাদের খুব একটা ক্ষতি হয়নি, শুধু বাইরের গ্লাসগুলো কালো হয়ে গেছে। একটি অফিসে পাওয়া ৫ লাখ টাকা, পাসপোর্ট, চেকবই পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।

শরাফাত হোসেন বলেন, আগুন না ছড়ালেও উপরের দিকে কয়েকটি তলার অফিসে আসবাবপত্র, জুতা ছড়ানো। যা থেকে বোঝা যায় মানুষ বাঁচার জন্য ছটফট করছিলো। 

ডার্ডের আরো এক কর্মকার্তা শামীম বলেন, আমাদের অফিসের আসবাব আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও টাকা-পয়সা মূল্যবান জিনিসপত্র পেয়েছি। দেখতে দেখতে ২১তলাতে গিয়ে রক্তের দাগ দেখেছি। উপরের দিকের অফিসগুলোর ভেতরে আগুন যায়নি, কিন্তু জিনিসপত্র ছড়ানো ছিটানো। পানির বোতল-জুতা এদিক-সেদিক ছড়িয়ে আছে। এ থেকে বোঝা যায় মানুষগুলো বাঁচার জন্য ছটফট করছিলো।

প্রত্যক্ষদর্শী আরো অনেকে জানান, ভবনটির ৭ম তলা থেকে ১১তলা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে ৭ম তলা থেকে ১০ম তলা পর্যন্ত প্রায় সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

পুড়ে যাওয়া এফ আর টাওয়ারের ৮তম তলার ভেতরের অবস্থা ৮ম তলায় অবস্থিত সিএনএফ নামের একটি অফিসে চাকরি করতেন জিলানি। পুলিশের সঙ্গে ভবনের ভেতরে পরিদর্শন শেষে বের হয়ে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ৮ম তলার দক্ষিণ পাশে আমাদের অফিস। অফিসের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে কিছুই পোড়ার বাকি নেই। কাঁচ ভেঙে নিচে ছাইয়ের সঙ্গে মিশে আছে, পা ফেলার উপায় নেই। সঙ্গে নিয়ে আসার মতো কিছুই পাইনি।

অগ্নিকাণ্ডের সময় অফিসে ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ভবনের নিচে আগুন লেগেছে। হঠাৎ করে ধোঁয়া উপরের দিকে উঠতে দেখে দ্রুত আমি ছাদে উঠে যাই। সে সময় অফিসে ২৫-৩০ জন কর্মী ছিলেন, তাদের অনেকেই হতাহত হয়েছেন। তবে এ মুহূর্তে নির্ধারিত করে নামগুলো বলতে পারছি না।

এদিকে, ভবনের বিভিন্ন অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া টাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মালামাল মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জন নিহত হয়েছে। অর্ধশতাধিক মানুষ দগ্ধ ও আহত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

Bootstrap Image Preview