রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের ফারুক টাওয়ারে লাগা আগুন নিহত হয়েছে ২৫ জন। এই আগুনে বিয়ের মাত্র ৮ মাসের মাথায় কেড়ে নিল আদমদীঘির বশিপুর গ্রামের তানজিলা মৌলি মিথির জীবন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা যান তিনি।
মিথির চাচা সরদার মো. সালাউদ্দিন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, মিথি ওই টাওয়ারের ১০ম তলায় কর্মস্থলে ছিল। দুপুরে আগুন লাগলে ও সেখানে আটকা পড়ে। এরপর মোবাইল ফোনে জানালেও বের করা সম্ভব হয়নি। বিকেলে পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া অবস্থায় ওকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এরপর কুর্মিটোলা হাসাপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ পর ওর মৃত্যু হয়। পরিচয়পত্র দেখে সনাক্ত করার পর মরদেহ আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তিনি বলেন, কয়েক মাসে আগে বিয়ে হয়েছে ওর। স্বপ্নের সংসার রেখে পুড়ে মারা গেল মেয়েটা।
আদমদীঘির সান্তাহার পৌরসভার বশিপুর গ্রামের অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান মাসুদের মেয়ে মিথি এফ আর টাওয়ারে একটি ট্যুরিজম কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ৮ মাস আগে ঢাকায় ইয়েচ ইয়ার লাইনে চাকরিরত কুমিল্লার রায়হানুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এই দম্পতি মিরপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় মিথির মরদেহ বাড়ি পৌঁছালে শতশত নারী-পুরুষ বাড়িতে ভিড় জমায়। এ সময় স্বজনদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
মিথির চাচা সালাউদ্দিন আরো বলেন, মিরপুর প্রথম জানাজে শেষে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১১টায় বশিপুর নিজ গ্রামে মিথির মরদেহ নিয়ে আসা হয়। বাদ জুম্মা সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।