খাগড়াছড়িতে পূর্ব শক্রতার জেরে সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কালীবন্ধু ত্রিপুরাকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় কালীবন্ধু ত্রিপুরার পরিবারের নারী ও শিশুসহ ৭ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে নুনছড়ি এলাকায় এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।
আহতরা হলেন, কালিবন্ধু ত্রিপুরার স্ত্রী রেমাপ্রতি ত্রিপুরা (৫৭), ছেলে প্রদীপ ত্রিপুরা (২৪), যত্ন বিকাশ ত্রিপুরা (৩০), আত্মীয় অরুনা ত্রিপুরা (৩৫), রুপবালা ত্রিপুরা (৩৫), বিদ্যারতন ত্রিপুরা (৩৫) ও উৎপল ত্রিপুরা।
জানা যায়, দীর্ঘ দুই বছর পর চান্দের গাড়ি ও মোটরসাইকেলে করে স্ব-পরিবারে গ্রামে ফেরার পথে নিহার বিন্দু ত্রিপুরার নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান ইউপি সদস্য কালী বন্ধু ত্রিপুরা।
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম সালাউদ্দিন বলেন, পূর্বশক্রতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। হামলাকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২০১৭ সালের ১১ মে সন্ধ্যায় থলিপাড়ায় চিরঞ্জিত ত্রিপুরা (৫৫) ও তার ছেলে কর্ণ ত্রিপুরা (৩০) নিহত হন। ওই সময় আহত হন চিরঞ্জিতের স্ত্রী ভবলক্ষী ত্রিপুরা (৪৫)ও পুত্রবধূ বিজলী ত্রিপুরা (২৮)। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কালিবন্ধু ত্রিপুরা কারাভোগের পর বেরিয়ে জেলা শহরের পরিবার নিয়ে থাকতেন।