Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বনানী অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও নিখোঁজ যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০১৯, ১২:২৮ PM
আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯, ১২:২৮ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: বিডিমর্নিং


বনানীর এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ। আহত হয়েছেন ৭০ জন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের লাশ উদ্ধার করা গেছে এবং তাদের শনাক্ত করাও সম্ভব হয়েছে। এদের মধ্যে ২৪ জনের লাশ ইতোমধ্যে তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জটিলতার কারণে একটি লাশ এখনও হস্তান্তর করা হয়নি।

ডিসি মোস্তাক আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিস এখনও উদ্ধারকাজ করছে। ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস থাকায় সময় লাগছে। ঘণ্টাখানেক পর তারা পুলিশের কাছে ভবনটি হস্তান্তর করবে। পরে পুলিশের ২১টি টিম ভেতরে কাজ করবে।

প্রত্যেকটি টিমে একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই), একজন সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ (এএসআই) নয়জন করে পুলিশ সদস্য থাকবে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, উদ্ধারের সব প্রক্রিয়া শেষে ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক দেবাশিষ বর্ধন। তিনি বলেন, ভবনের ভেতরে উদ্ধার কাজ চলছে, সেখানে আরও কিছু মৃতদেহ আছে।

নিহতদের মধ্যে পরিচয় পাওয়া গেছে, শ্রীলংকান নাগরিক নিরস (কুর্মিটোলা হাসপাতাল), গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বালুগ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), দিনাজপুর জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার আবুল কাশেমের ছেলে মামুন (ইউনাইটেড হাসপাতাল), আমিনা ইয়াসমিন (৪০), আবদুল্লাহ ফারুক (ঢাকা মেডিকেল), মাকসুদুর (৬৬) ও মনির (৫০)।

সন্ধ্যার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর ভবনটির বিভিন্ন ফ্লোরে প্রবেশ করেন ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা। এরপরই বের হতে থাকে একের পর লাশ। ইউনাইটেড হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার জানান, সেখানে যে তিনজনের মৃতদেহ রয়েছে, তাদের সবাই পুরুষ। তাদের একজনের মৃত্যু হয়েছে আগুনে পুড়ে, বাকিদের অন্য ইনজুরি ছিল। নিহতদের একজনের নাম মনির।

এদিকে দগ্ধ ও আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৭০ জন।

পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আহতের সংখ্যা ৭০। যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন- লুৎফুর রহমান ভুঞা (৭৪), কাজী জাবির উদ্দিন (৫৪), ফজলুল হক (৬১), ফজলুল হক (২৮), মির্জা আহসানুল হাবিব (৮১), রিয়াজ মাহমুদ আনসার (৩১), খন্দকার মাঈনউদ্দিন (৪৫), আহসানুল হক মামুন (২৮), মো. মুসফিকুর (৭৪), সুশান্ত (৩৫), বাদল ফয়সার (৩২), সোহাগ (২২), আল-ফয়সাল (৩৫), ফরহানুর রহমান (২৮), ফয়েজ আহমেদ (৪০), হাসান (১৮), রাশেদ (৪২), নূর আলম (১৫), রায়হান (৩০), নজরুল ইসলাম (২৯), বি সরকার (৪১), আবদুস সবুর খান (৪২), রায়হান হোসেন মজুমদার, তাহারিম (২৮), নাজমুল হক (৩৫), মহিউদ্দিন (২৩), নূর হোসেন (২৮), রেজাউল আহমেদ (৪০), ইকবাল (৪০), রেজাউর রহমান রিজন (৪৭), ইউসুফ (১৯), মহিন (৪২), রিপন (৩০), রোমানা (২৬), মাজেদ, আতিকুজ্জামান (২৫), আতিকুল (২৭), মিরাজ (৩৯), মেহেদী নাহিয়ান (৩২), হাসানুজ্জামান (৪২), বাবুল (৩৮), মইনুল রিংকু (৪০), জসিম (২৮), মিঠু (২৫), সাব্বির (২২), রেদোয়ান আহমেদ (৩৫), আবু হোসেন (৩০), আনোয়ারুল ইসলাম (৪০), এটিএম জাহাঙ্গীর (৬৪), সোহরাব হোসেন, পলি, স্মৃতি, স্বর্ণা, নীলিমা মাহমুদ, আবরারুল আলম, মহিউদ্দিন, নাইমুল হোসেন, রেজোয়ান আহমেদ, ফজলুল হক, রিফাত, মশিউর, ফাহিম, মুরাদ, মামুন, ইশতিয়াক, ফজলু, এবিএম আবুল হোসেন, মাহবুব আলম ও রশিদ প্রমুখ।

এছাড়া নিখোঁজদের মধ্যে যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন- মির্জা আতিকুর রহমান, জেবুন্নেসা, আরকে জেবিন বৃষ্টি, রেজাউল করিম রাজু, জসিম উদ্দিন, জাফর আহমেদ, নজরুল ইসলাম, আনজির সিদ্দিক আবির, মোস্তাফিজুর রহমান, হিরু, রেজাউল করিম রাজীব।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী রশিদ-উন-নবী বলেন, বেশির ভাগেরই শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা।

রশিদ-উন-নবী আরও বলেন, নিহত শ্রীলংকার নাগরিকের নাম নিরস চন্দ্র। অগ্নিকাণ্ডের পর তিনি ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন এবং হাসপাতালে নেয়ার আগেই তিনি মারা যান।

Bootstrap Image Preview