রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারের নিরাপত্তাপ্রহরী জাহাঙ্গীর আলম। তিনি ওই ভবনের ছাদে থাকেন। সেখানেই এ ভবনের নিরাপত্তাপ্রহরীদের থাকার জায়গা।
ডিউটি না থাকায় বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে যখন আগুন লাগে, তখন ২২তলা ওই ভবনের ছাদেই ছিলেন জাহাঙ্গীর।
জাহাঙ্গীর জানান, এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগার কথা শোনার পর নিচে নামার চেষ্টা করেন। কিন্তু নবম তলায় পৌঁছে সেখানে আগুনের তাপ অনুভব করেন। এরপর তিনি আবার ছাদে ফিরে যান। সেখান থেকে পাশের আহমেদ টাওয়ারে লাফ দিয়ে চলে যান। ভবন দুটি লাগোয়া হওয়ায় লাফ দিয়েই সেখানে যেতে পারেন তিনি।সেখানে গিয়ে দেখেন, ওই ভবনেরও লিফট বন্ধ। এরপর তিনি সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নিচে নামেন।
নিচে নেমে এসে জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাত ও আট তলায় আগুন লাগছে বইল্যা মনে হয়। পরে এইটা নয়তলায় গিয়া লাগে।’ ২২ তলার এফ আর টাওয়ারের প্রায় সবকটিতেই কোনো না কোনো অফিস এবং নিচের দুটি তলায় দোকান আছে বলে তিনি জানান।
জাহাঙ্গীরের ভাষ্য মতে, আজ সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস। যেকোনো কর্মদিবসে অন্তত হাজারখানেক লোক এই ভবনে থাকেন। এফ আর টাওয়ারে তিনটি লিফট আছে। প্রতি লিফটে ১২ জন উঠতে পারে। জরুরি সিঁড়ি আছে দুটি। বেসমেন্টে পার্কিং আছে।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১টার দিকে ২২ তলা বিশিষ্ট ওই ভবনটিতে আগুন লাগে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ২১ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল দীর্ঘক্ষণ কাজ করার পর সন্ধ্যা ৭টয়আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেছে ফায়ার সার্ভিস, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।