Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘কিভাবে শোক প্রকাশ করা সম্ভব তা আমরা কেউ জানি না’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০১৯, ০৮:২৪ PM
আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯, ০৮:২৪ PM

bdmorning Image Preview


কুর্মিটোলা হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মোহাম্মদ রশীদ উন নবী বলেছেন, কিভাবে এই শোক প্রকাশ করা সম্ভব হবে তা আমরা কেউ জানি না। দেশ রক্ষায় নিমিত্ত থাকার শপথে যখন এমন ঘটনা সামনে আসে সেখানে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াটায় ভরসা।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীর ২২তলা বিশিষ্ট এফআর টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক জন বিদেশি, তিনি শ্রীলঙ্কার নাগরিক। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে টাওয়ারের ৯তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া শকসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

নিহতদের মধ্যে ইউনাইটেড হাসপাতালে তিন জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দু'জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন এবং ঘটনাস্থলে ১১ জন মারা গেছে।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) দিলীপ কুমার ঘোষ। প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

দিলীপ কুমার ঘোষ জানান, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বর্তমানে উদ্ধারকাজ চলছে। ভবনে কেউ জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় আটকা পড়ে আছে কি না- তা অনুসন্ধানে উদ্ধার টিম কাজ করছে।

নিহত ৭ ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), আমেনা ইয়াসমিন (৪০), মামুন (৩৬), শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিরস চন্দ্র, আবদুল্লাহ আল ফারুক (৩২), মাকসুদুর (৬৬) ও মনির (৫০)।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থাপিত বনানী থানার কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, আমেনা মারা গেছেন অ্যাপোলো হাসপাতালে। পারভেজ সাজ্জাদ বনানী ক্লিনিকে, নিরস চন্দ্র কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এবং মামুন, মাকসুদুর ও মনির ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেছেন। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন আবদুল্লাহ আল ফারুক।

এ দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী রায়ান খান বলেন, আমরা তিন-চারজন নিচে দাঁড়িয়ে নাস্তা করছিলাম। ভবনটির ৯ কিংবা ১০ তলায় দাউ দাউ করে প্রচুর ধোঁয়া বের হতে দেখি আমরা। অনেককে চিৎকার করে নিচে নামতে দেখি। তখনই আমি ৯৯৯ এ ফোন দেই। পাশাপাশি আরও ২-৩ জন ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিয়েছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট সেখানে উপস্থিত হয়। এর মধ্যে ল্যাডার ইউনিট (বহুতল ভবন থেকে উদ্ধারকারী সিঁড়ি) ও মোটরসাইকেল ইউনিট ছিল।

ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও ভবনের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা অবস্থান করছেন। ভবনের অধিকাংশ লোকই নিচে নেমে অবস্থান নিয়েছে।

ভেতরে অনেকে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বহুতল ভবনটির পাইপ বেয়ে অনেককে নিচে নামার চেষ্টা করতেও দেখা গেছে।

Bootstrap Image Preview