নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত মোজাম্মেল হকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাদ যোহর চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার হুরমাইশা গ্রামে নিজ বাড়ির মাঠে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পিতার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে নির্বিচারে গুলি চালায় অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ব্রেন্টন টারেন্ট। এতে ৫০ জন নিহত হন। এর মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি।
খবর পেয়ে এক নজর দেখার জন্য মোজাম্মেলের বাড়িতে ভিড় করেন আত্মীয় স্বজনসহ আশেপাশের গ্রামের লোকজন।
সেদিন মসজিদে নামাজ আদায় করতে গেলেও একটু দেরিতে যাওয়ায় বেঁচে যান নিউজিল্যান্ডে সফররত বাংলাদেশ জাতীয় দলের কয়েকজন ক্রিকেটার।
নিহত মোজাম্মেলের ভাই শাহাদাত হোসেন বলেন, সরকারে সহযোগিতায় ভাইয়ের লাশ দেশে আনতে পেরেছি। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
নিহতের বড় বোন জোস্না বেগম বলেন, ভাইকে অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করিয়েছি। বিদেশ যাওয়ার জন্য ব্যাংক লোন নিতে হয়েছে। যা এখনো পরিশোধ হয়নি। আশা ছিল ভাই পড়া শেষ করে দেশে আসলে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ঢাকা মিরপুরের মার্কস মেডিকেল কলেজ থেকে দন্ত চিকিৎসক হিসেবে পাশ করার পর ২০১৫ সালে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য নিউজিল্যান্ড যান। চলতি বছরের রমজানের পরে তার দেশে আসার কথা ছিলো। গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত।
গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ৫ বাংলাদেশি।