রাজধানীর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত স্বামী মির্জা আতিকুর রহমানকে খুঁজে পাচ্ছেন না স্ত্রী অ্যানি আক্তার পলি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্বামীর খোঁজে এসে গণমাধ্যম কর্মীদের দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।
পলি জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালে স্বামীর খোঁজ করেছেন। কিন্তু কোথাও পাচ্ছেন না।
রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের ওই ভবনে আগুন লাগার পর বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে সর্বশেষ স্বামীর সঙ্গে কথা হয় পলির। ওই সময় এফআর টাওয়ারে আগুন লেগেছে বলে স্ত্রী পলিকে জানান বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্ক্যান ওয়্যারের কর্মকর্তা মির্জা আতিকুর রহমান।
তারপর থেকে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ওই প্রতিষ্ঠানের অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও স্বামীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান পলি।
এদিকে, এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এক শ্রীলঙ্কান নাগরিকসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। নিহত বিদেশি ওই ব্যক্তির নাম নিরস। তিনি ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে মারা যান। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেলে আবদুল্লাহ নামে একজন মারা গেছেন বলে জানানো হয়।
এছাড়াও আরও কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বালুগ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭) বনানী ক্লিনিক, দিনাজপুর জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার আবুল কাশেমের ছেলে মামুন (ইউনাইটেড হাসপাতাল, আমিনা ইয়াসমিন (৪০) (অ্যাপোলো হাসপাতাল), মাকসুদুর (৬৬) ও মনির (৫০)।
এছাড়াও ল্যাডার ইউনিট (বহুতল ভবন থেকে উদ্ধারকারী সিঁড়ি) ও মোটরসাইকেল ইউনিটও উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণ করেছে।
কাচে ঘেরা পুরো ভবনটির বাইরে থেকে কাচ ভেঙে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভেতরকার ধোঁয়া বের করছেন এবং ল্যাডার দিয়ে আটকেপড়া মানুষজনকে উদ্ধার করে নিচে নামিয়ে আনছেন।
উল্লেখ্য, রাজধানীর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের এফআর টাওয়ারে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট কাজ করে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, ভবনটিতে দ্যা ওয়েভ গ্রুপ, হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেস, আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড ছাড়াও অর্ধশতাধিক অফিস রয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও নির্বাপণ শতভাগ হয়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।