রাজধানীর বনানীতে এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
আজ বৃহস্পতিবার এক শোকবার্তায় তিনি নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানান।
এ ছাড়া অগ্নিদগ্ধদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও নিহত ও আহতদের পরিবারকে যুক্তিযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
একইভাবে শোক প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ এবং পার্টির মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা।
রাজধানীর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এক শ্রীলঙ্কান নাগরিকসহ সাত জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেক। এ ঘটনায় ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের সেনা সদস্যরা। ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী রায়ান খান বলেন, আমরা তিন-চারজন নিচে দাঁড়িয়ে নাস্তা করছিলাম। ভবনটির ৯ কিংবা ১০ তলায় দাউ দাউ করে প্রচুর ধোঁয়া বের হতে দেখি আমরা। অনেককে চিৎকার করে নিচে নামতে দেখি। তখনই আমি ৯৯৯ এ ফোন দেই। পাশাপাশি আরও ২-৩ জন ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিয়েছে।
তিনি বলেন, কয়েক মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট সেখানে উপস্থিত হয়। এর মধ্যে ল্যাডার ইউনিট (বহুতল ভবন থেকে উদ্ধারকারী সিঁড়ি) ও মোটরসাইকেল ইউনিট ছিল।
ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও ভবনের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা অবস্থান করছেন। ভবনের অধিকাংশ লোকই নিচে নেমে অবস্থান নিয়েছে।
ভেতরে অনেকে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বহুতল ভবনটির পাইপ বেয়ে অনেককে নিচে নামার চেষ্টা করতেও দেখা গেছে।